সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মারিওপোলে (Mariupol) আত্মসমর্পণ করেছে ১ হাজারেরও বেশি ইউক্রেনীয় সেনা। বুধবার এমনটাই দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রক। কৌশলগত দিক থেকে মস্কোর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পূর্ব ইউক্রেনের এই বন্দর শহরটি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করেছে রাশিয়া (Russia)। প্রায় ৫০ দিন ধরে ভৌগোলিক ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর মারিওপোলের চারদিক ঘিরে ধরে লাগাতার আক্রমণ চালাচ্ছে রাশিয়া। মস্কো থেকে এই সংক্রান্ত যে বিবৃতি প্রকাশ হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, “মারিওপোল শহরে ইউক্রেনের ৩৬তম মেরিন ব্রিগেডের ১,০২৬ জন সেনাকর্মী আত্মসমর্পণ করেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন ১৬২ জন অফিসার। আত্মসমর্পণকারীদের ইউক্রেনীয় সেনাদের মধ্যে রয়েছেন ৪৭ জন মহিলাও।”
বলে রাখা ভাল, ভৌগোলিক ও কৌশলগত দিক থেকে রাশিয়ার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পূর্ব ইউক্রেনের বন্দর শহর মারিওপোল। কারণ, রাশিয়া অধিকৃত ক্রাইমিয়ার সঙ্গে রুশপন্থীদের কব্জায় থাকা ডোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক এলাকাকে (দোনবাস অঞ্চল) যুক্ত করতে চায় মস্কো। এই যোগসাধনের জন্য প্রয়োজন বন্দর শহর মারিওপোলে দখল কায়েম করা। সেই কারণেই শহরটি রাশিয়ার কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ। বস্তুত, মারিওপোল দখলের লড়াইয়ে ইতিমধ্যেই হাজারের উপর সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
উল্লেখ্য, মারিওপোলে যুদ্ধ করছে ইউক্রেনের ৩৬তম মেরিন ব্রিগেড। সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, “৪৭ দিন ধরে বন্দর রক্ষায় সব রকম প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। এবার আর পিছু হটা ছাড়া রাস্তা নেই। শুধু অস্ত্র বাড়ন্ত নয়। প্রায় অর্ধেক সেনা আহত। এখনও অঙ্গহানি হয়নি যাঁদের, তাঁরা এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।” ইতিমধ্যেই মারিওপোল ঘিরে ফেলেছে রুশ সেনা। তারাও জানিয়েছে, মারিওপোলে এখন আজভস্টাল লৌহ ও ইস্পাত কেন্দ্র এবং বন্দর দখলের লড়াই চলছে। এদিকে, ৩৬ মেরিন ব্রিগেডের অনেক সৈনিকের গলায় শোনা গিয়েছে আক্ষেপের সুর। তাঁদের অভিযোগ, অস্ত্র ও রসদ পাঠানোর কোনও ব্যবস্থা করছেন না ফৌজের কর্তারা। তাঁরা একপ্রকার ধরেই নিয়েছেন যে মারিওপোল থেকে কেউই জীবিত ফিরবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.