সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির (Alexei Navalny) গ্রেপ্তারিতে বিক্ষোভ বাড়ছে রাশিয়ায়। এহেন রাজনৈতিক ডামাডোলে মস্কোর ‘দমননীতির’ বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এবার তারই পালটা দিল পুতিন প্রশাসন। আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে বলে সাফ জানিয়েছে রাশিয়া।
জানুয়ারি মাসের ১৭ তারিখ সুস্থ হয়ে বার্লিন থেকে মস্কো ফিরতেই গ্রেপ্তার করা হয় নাভালনিকে। গত বছর তাঁকে বিষ দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। এই ষড়যন্ত্রের জন্য তিনি পুতিনকে দায়ী করেছিলেন। ক্রেমলিন এমন দাবিকে পত্রপাঠ উড়িয়ে দিয়েছিল। পরে গ্রেপ্তারির ভয়কে অগ্রাহ্য করেই তিনি মস্কোতে ফিরে আসেন। এরপরই তাঁকে জেলবন্দি করা হয়। তারপর থেকেই তাঁর মুক্তির দাবিতে শুরু হয়েছে আন্দোলন। এবার শোনা যাচ্ছে, শীঘ্রই রাশিয়ার উপর আরও একপ্রস্থ আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপাতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আর এমনটা হলে মস্কোও যে চুপ করে বসে থাকবে না, তা জানিয়ে দিয়েছেন রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমরা বিশ্ব থেকে স্বেচ্ছায় আলাদা হতে চাই না। কিন্তু পরিস্থিতি তেমন দাঁড়ালে, আমরা সম্পর্ক ছিন্ন করতে তৈরি। শান্তি চাইলে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতেই হবে।”
উল্লেখ্য, প্রায় পাঁচ মাস পর জার্মানি থেকে মস্কো ফিরেছেন নাভালনি। তারপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাশিয়ার কারা কর্তৃপক্ষ আগেই জানিয়েছিল, ২০১৪ সালের আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলায দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল নাভালনিকে। তবে আদালত তিন বছর জেলের সাজা দিলেও কারাগারে দিন কাটাতে হয়নি তাঁকে। কারণ, দোষী সাব্যস্ত হলেও নাভালনির সাজা মকুব (‘সাসপেন্ডেড সেন্টেন্স’) করে দেওয়া হয়। কিন্তু শর্ত মোতাবেক তাঁকে থানায় বা সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের কাছে সময়ে সময়ে হাজির দিতে হয়। কিন্তু আদালতের বেঁধে দেওয়া শর্ত মানছেন না নভালনি। তাই দেশে ফিরলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে। শুধু তাই নয়, কয়েকদিন আগে ফের একটি দুর্নীতি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.