সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় ন’ ঘণ্টার বৈঠকেও কাটল না যুদ্ধের মেঘ। ভেস্তে গেল ইউক্রেন (Ukraine) ও রাশিয়ার মধ্যে চলা শান্তি আলোচনা। বার্লিনে দীর্ঘ সময় কথাবার্তার পরও সীমান্ত সংঘাত মেটাতে কোনও নির্দিষ্ট পদক্ষেপ করার বিষয়ে একমত হতে পারল না মস্কো ও কিয়েভ।
বৃহস্পতিবার জার্মানির রাজধানী বার্লিনে বৈঠকে বসেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। সেই বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির চিফ অফ স্টাফ আন্দ্রেই ইয়েরমাক জানিয়েছেন, এখনই সীমান্ত সমস্যা মেটাতে কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। তবে ভবিষ্যতে আবারও আলোচনায় বসবে দুই দেশ। তিনি আরও জানান, বন্দি বিনিময় ও পূর্ব ইউক্রেনে চেক পয়েন্ট স্থাপনের বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা হবে। সম্প্রতি, ইউক্রেন নিয়ে কিছুটা সুর নরম করতে শোনা যায় পুতিনকে। ফলে সমস্যা মেটাতে রুশ প্রেসিডেন্ট আগ্রহী বলেই মনে করেছিলেন অনেকে। কিন্তু এবারের আলোচনা ভেস্তে যাওয়ায় সেই আশায় ছাই পড়ল।
গত কয়েক মাস ধরেই ইউক্রেনকে ঘিরে সম্মুখ সমরে আমেরিকা-রাশিয়া। ইউক্রেন সীমান্তে সেনা মজুত করে NATO গোষ্ঠীর দেশগুলির বিষনজরে পড়েও লাগাতার আক্রমণাত্মক মেজাজেই দেখা গিয়েছে পুতিনকে। কিন্তু অবশেষে তাঁর গলায় সমঝোতার সুর। ফ্রান্সের (France) প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব বিবেচনা করতে তাঁরা রাজি বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে পাশাপাশি এই সমস্যার জন্য পশ্চিমি দেশগুলিকেই কাঠগড়ায় তুলতে দেখা গিয়েছে পুতিনকে। ক্রেমলিনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে প্রায় ৫ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দীর্ঘ বৈঠক করেন পুতিন। বৈঠক শেষে পুতিন জানিয়েছেন, তাঁরা সমঝোতায় রাজি। ম্যাক্রোঁ তার সামনে যে প্রস্তাব রেখেছেন সেদিকে নজর রাখবেন তিনি।
এদিকে, ইউক্রেন সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে অন্তত এক লক্ষ রুশ জওয়ান। গত কয়েক বছরে ইউক্রেনের সেনা ও রাশিয়ার মদতপুষ্ট বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে অন্তত ১৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি না শুধরালে আগামী দিনে রক্তক্ষয় আরও বাড়াই হয়তো নিয়তি। আর যুদ্ধ একবার প্রত্যক্ষভাবে শুরু হয়ে গেলে যে আরও কত ক্ষয়ক্ষতি, প্রাণহানি হবে তা বলাই বাহুল্য। পাশাপাশি এই যুদ্ধের প্রভাব পড়তে পারে সারা বিশ্বেই। সেই কারণেই যে কোনও ভাবে এই যুদ্ধ আটকাতে তৎপর আন্তর্জাতিক মঞ্চ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.