সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনকে (Ukraine) কেন্দ্র করে ক্রমেই উত্তেজনা বাড়ছে রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে। এহেন সময়ে অধুনা সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশটির পূর্বাঞ্চলে ‘গণহত্যা’র অভিযোগ তুলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ও ন্যাটো জোটের সদস্য পূর্ব ইউরোপের দেশগুলির সঙ্গে ফোনে আলাপ সারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, বেশকয়েক মাস ধরেই ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে মস্কোপন্থী বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। এই বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে বৃহস্পতিবার রুশ ভাষাভাষী মানুষের গণহত্যার অভিযোগ তোলেন পুতিন। তিনি বলেন, “প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে রুশ ভীতি। আপনারা এবং আমরা সবাই জানি দনবাসে (ইউক্রেনের প্রদেশ) কী হচ্ছে।” বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করে এমনিতেই যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে রাশিয়া। তার মধ্যে, গণহত্যার অভিযোগে ক্রিমিয়ার মতো আবারও দেশটিতে হামলা চালাতে পারে রুশ সেনাবাহিনী।
এদিকে, রুশ হামলা ঠেকাতে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেন্সকির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একইসঙ্গে ন্যাটো জোটের অন্তর্ভুক্ত ইউরোপের দেশগুলির রাষ্ট্রনায়কদের সঙ্গেও ফোনে আলাপ করেন তিনি। নিজের বার্তায় বাইডেন স্পষ্ট জানিয়েছেন, বিদেশি আগ্রাসনের পরিস্থিতিতে কিয়েভের পাশে দাঁড়াবে ওয়াশিংটন।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই ইউক্রেনের মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স তথা সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের কিরইয়োল বুদানভ জানান, ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ৯২ হাজার সেনা মজুত করেছে রাশিয়া। মার্কিন পত্রিকা ‘মিলিটারি টাইমস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বুদানভের দাবি, আগামী জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসে হামলা চালাতে পারে মস্কো। শুরুতে রুশ যুদ্ধবিমান ও গোলন্দাজ বাহিনী ইউক্রেনের সামরিক পোস্টগুলিতে হামলা চালাবে। তারপর আসবে রুশ পদাতিক বাহিনী। তবে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.