বিকৃতকাম শিক্ষিকা আনা প্লাকসিউক।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাজলজ্জার মাথা খেয়ে ১১ বছরের বালকের সঙ্গে যৌনাচার শিক্ষিকার! দিনের পর দিন স্কুলে নিজের নগ্ন ছবি দেখানোর পাশাপাশি পড়ুয়াকে বাধ্য করতেন নিজের স্তন স্পর্শ করতে ও চুম্বন করতে। স্কুলের পড়ুয়াকে ব্যবহার করে নিজের যৌন চাহিদা মেটানোর অপরাধে ২৭ বছরের শিক্ষিকাকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দিল আদালত।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ঘটনা রাশিয়ায়। আনা প্লাকসিউক নামে ২৭ বছরের ওই বিকৃতকাম যুবতী এক প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্কুলে যথেষ্ট সুনামও ছিল তাঁর। বিবাহিত ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, ক্লাস শেষ হয়ে যাওয়ার পর ১১ বছরের এক বালককে ক্লাসে আটকে রাখেন তিনি। এরপর পড়ুয়াকে নিজের নগ্ন ছবি দেখিয়ে গোপনাঙ্গে স্পর্শ করতে বাধ্য করেন। জোর করে চুমু খান ও যৌন সম্পর্ক করেন। শুধু তাই নয়, পড়ুয়া বাড়ি চলে গেলে তার ফোনে নিজের নগ্ন ছবি পাঠান শিক্ষিকা। এবং তাকেও একই কাজ করতে বলেন।
এদিকে ছেলের ফোনের হোয়াটসঅ্যাপে শিক্ষিকার নগ্ন ছবি ও অশ্লীল কথোপকথন দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান ওই পড়ুয়ার মা। তৎক্ষণাৎ সেন্ট পিটার্সবার্গের টোকসোভো শহরে ছেলের স্কুলে যান তিনি। গোটা ঘটনার কথা স্কুলের অধ্যক্ষকে জানান। অভিযোগ করেন, তাঁর নাবালক পুত্রকে এই ধরনের অশ্লীল কাজ করতে বাধ্য করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তৎপর হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। জানা যাচ্ছে, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে প্রকাশ্যে আসে এই ঘটনা। প্রায় চার মাস পর ২০২৪ সালে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই মামলায় সম্প্রতি ৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে আনা প্লাকসিউককে পাশাপাশি জেলমুক্তির পর এক বছর তিনি শিক্ষকতা করতে পারবেন না বলে জানিয়েছে আদালত।
এই মামলায় আদালতের জানায়, “ক্লাসঘরে ওই শিক্ষিকা নিজের যৌনাঙ্গে হাত দিতে বাধ্য করেছিলেন ছাত্রকে। স্কুল থেকে বাড়ি চলে যাওয়ার পরে বালককে নগ্ন ছবিও পাঠান। পড়ুয়াকেও একই কাজ করতে জোর করেন। ১১ বছরের বালকের সঙ্গে এমন আচরণ অত্যন্ত ঘৃণ্য অপরাধ।” যদিও আদালতে শিক্ষিকার তরফে দাবি করা হয়, ‘ওই ছাত্রটি মানসিক ভাবে অসুস্থ। চার মাস ধরে তাঁকে নানা ভাবে হেনস্থা করছে সে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.