সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনকে জোর ধাক্কা দিয়ে হংকংয়ের সঙ্গে প্রত্যর্পণ চুক্তি বাতিল করল আমেরিকা (US)। শুধু তাই নয়, স্বায়ত্বশাসিত প্রদেশটিকে দেওয়া বিশেষ কর ছাড়ের সুবিধাও প্রত্যাহার করে নিয়েছে ওয়াশিংটন। সদ্য এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন বিদেশ দপ্তর।
গত জুন মাসে আন্তর্জাতিক মঞ্চের প্রতিবাদ হেলায় উড়িয়ে হংকং নিয়ে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা বিল পাশ করে চিন। বিতর্ক উপেক্ষা করেই ‘National security legislation for Hong Kong’ শীর্ষক বিলটিতে সই করেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এর ফলে স্বায়ত্বশাসিত প্রদেশটির উপর বেজিংয়ের রাশ আরও মজবুত হয়েছে। তারপরই চিনের উপর চাপ বাড়িয়ে হংকংয়ের (Hong Kong) ৩০ লক্ষ বাসিন্দাকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করে ব্রিটেন। শুধু তাই নয়, সদ্য হংকংয়ের ‘চিনপন্থী’ প্রশাসক ক্যারি লাম-সহ ১০ জন উচ্চপদস্থ চিনা আধিকারিকের উপর ভ্রমণ ও আর্থিক বিষয় সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ওয়াশিংটন। তার আগে গত মে মাসে মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও জানিয়েছিলেন, চিনা দখলদারির কথা মাথায় রেখে হংকংকে স্বায়ত্বশাসিত প্রদেশ হিসেবে গণ্য করা হবে না। হংকংয়ে পরিস্থিতি যে কতটা খারাপ তা স্পষ্ট করে কয়েকদিন আগেই বিতর্কিত নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয় গণতন্ত্রপন্থী ধনকুবের ও মিডিয়া টাইকুন জিমি লাইকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিদেশি শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আমেরিকার আগে জুলাই মাসে হংকংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে এবং স্বায়ত্তশাসনের প্রশ্নে চিনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেছে দুই পুরনো ব্রিটিশ উপনিবেশ অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডা। গণতন্ত্রকামীদের সমর্থন জানিয়ে গত মাসে হংকংয়ের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি বাতিল করে দুই দেশ। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বৃহস্পতিবার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে এই পদক্ষেপ করেন। বিশ্লেষকদের মতে, নয়া আইন লাগু করে হংকংয়ে গণতন্ত্রকমীদের বাগে আনতে চাইছে বেজিং। এবার বেছে বেছে বিক্ষোভকারীদের নিশানা করবে শি জিনপিং সরকার। পাশাপাশি, এভাবেই ধীরে ধীরে হংকংয়ের বিশেষ মর্যাদাও রদ করবে চিন (China)।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.