ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদেশে পড়তে গিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ছেলে। কিন্তু মৃত্যুর খবর পেয়েও ছেলের কাছে যেতে পারছেন না পুণের দম্পতি। কারণ, লকডাউনে স্তব্ধ দেশ। বাধ্য হয়ে ছেলেকে শেষ দেখা দেখতে চেয়ে ব্রিটিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ পরিবার। শীঘ্রই দেহটি দেশে ফেরানোর আরজি জানিয়েছেন মৃতের বাবা।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই পড়াশোনার জন্য ইংল্যান্ডে ছিলেন বছর ২৩ এর সিদ্ধার্থ মুকরুম্বী। চলতি বছরের ১৫ মার্চ আচমকা নিখোঁজ হয়ে যায় ওই যুবক। পরে ইংল্যান্ডেরই একটি নদীর ধার থেকে উদ্ধার দেহ। খবর পাওয়ার পরই কান্নায় ভেঙে পড়ে মুকরম্বী পরিবার। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁদের পক্ষে ইংল্যান্ড পৌঁছনো কার্যত অসম্ভব। তাই বাধ্য হয়ে ছেলের দেহ দেশে ফেরানোর আবেদন জানিয়ে ওই দেশের প্রশাসনের দ্বারস্থ হন মৃত সিদ্ধার্থের বাবা শংকর মুকরম্বী। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে বিশ্বের যা পরিস্থিতি তাকে দেহ ফেরানোর ক্ষেত্রে একাধিক জটিলতা রয়েছে। তাই আদৌ দেহটি ফিরবে কি না, তা নিশ্চিত নয়।
সূত্রের খবর, ব্রিটিশ পুলিশের তরফে তদন্ত শুরুর পাশাপাশি যোগাযোগ করা হয়েছে শংকর বাবুর সঙ্গে। তদন্তে সাহায্যেও চেয়েছে তাঁরা। কিন্তু পরিবারের তরফে এই মুহূর্তে গোটা প্রক্রিয়ায় সাহায্য করাও সম্ভব নয়। সেই কারণে প্রাথমিকভাবে ব্রিটিশ প্রশাসনের তরফে নথিপত্রের কাজ সেরে দেহটি সতকারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে মুকরম্বী পরিবারের দাবি, তাঁদের কাছেই পাঠানো হোক দেহ। এ প্রসঙ্গে ওই মৃতের এক বন্ধু জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগেই তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল সিদ্ধার্থের। কিন্তু কিছুই বুঝতে পারেননি তিনি। তবে কেন এমন সিদ্ধান্ত? তা ভাবাচ্ছে পরিবারকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.