সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগুন রূপের আড়ালে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড। ভারতে বাস করে পাকিস্তান প্রেম। একদিকে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপারেশন সিঁদুর চলছে সেই সময় ভারতের একের পর এক গোপন তথ্য পাকিস্তানে পাচার। হরিয়ানার সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার জ্যোতি মালহোত্রার কীর্তি আর কারও অজানা নয়। কিন্তু কীভাবে ধরা পড়ল জ্যোতি? কথা থেকে সূত্র পেলেন গোয়েন্দারা? শোনা যাচ্ছে, নিজের ভিডিওতেই ফেঁসেছেন জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সার।
২০২৩ সালে, ভারতে পাক দূতাবাস কর্মী এহসান উর রহিম ওরফে দানিশের সঙ্গে জো-র (এই নামেই নিজেরকে পরিচয় দেন জ্যোতি) আলাপ। ক্রমে ঘনিষ্ঠতা। এই দানিশকে ইতিমধ্যেই পাক দূতাবাসে থেকে গুপ্তচরবৃত্তির আড়ালে ভারত থেকে বের করে দিয়েছে নয়াদিল্লি। তাকে ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’ অর্থাৎ অবাঞ্চিত ব্যক্তি বলে বিতাড়িত করেছে ভারত সরকার। দানিশ সম্পর্ক তদন্ত করতে গিয়েই প্রথমে জ্যোতির নাম পান তদন্তকারীরা। এই দানিশেরই ‘বিশেষ আমন্ত্রণে’ গত বছর পাক দূতাবাসে ইফতার পার্টিতে যায় জ্যোতি। এবং পুরো বিষয়টির ভিডিও করে সে। সেই ভিডিওটি দেখেই সন্দেহ হয় গোয়েন্দাদের।
পরে তাঁর প্রোফাইল খুটিয়ে দেখা যায়, একাধিকবার পাকিস্তানে গিয়েছে জো। ট্রাভেল ভিডিও বানানোর নামে পাকিস্তান গিয়ে জো একাধিক আইএসআই এজেন্ট এবং কর্তার সঙ্গে দেখা করে। তাদের মধ্যে শাকির আর রান শাহবাজ নামের দুই পাক এজেন্টের সঙ্গে জ্যোতির নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। পাক দূতাবাসের সদস্য দানিশ তো ছিলই। গত তিন বছরে হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবে বড় চর নেটওয়ার্ক তৈরি করে জ্যোতি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সম্প্রতি জ্যোতি ও আরও ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে হরিয়ানা পুলিশ। ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে তাঁদের।
পাকিস্তানের নানা জায়গায় ঘুরে ঘুরে ভিডিও বানাতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। যেখানে পাকিস্তানের গুণগান করছেন জ্যোতি। পাকিস্তানের হিন্দু মন্দিরের সামনেও বহু ভিডিও রয়েছে তার। সেই ভিডিওগুলিতেও একাধিকবার উল্লেখ রয়েছে, পাক গুপ্তচর দানিশের। গোয়েন্দাদের ধারনা দানিশের সঙ্গে অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতাই দেশ বিরোধিতার দিকে এগিয়ে দেয় তাকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.