সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যাভিচারের অভিযোগ উঠেছিল তরুণীর বিরুদ্ধে। মামলা ওঠে আদালতে। বিচারে তরুণীকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করার রায় দিল আদালত। এই মধ্যযুগীয় ‘নিদান’ দিয়েছে সুদানের (Sudan) একটি আদালত। যা প্রকাশ্যে আসার পর নিন্দায় সরব হয়েছে একাধিক মানবাধিকার সংগঠন। দ্রুত ওই তরুণীর মুক্তির দাবি উঠেছে। জানা গিয়েছে, এই রায়ের বিরুদ্ধে দেশটির শীর্ষ আদালতে মামলা উঠতে পারে। শীর্ষ আদালত বর্বর শাস্তির রায় বদলাতে পারে বলেও অনুমান করা হচ্ছে।
আফ্রিকার (Africa) বৃহত্তম দেশ সুদানে সংখ্যাগুরু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। পাথর ছুঁড়ে হত্যার শাস্তি এদেশে নতুন কিছু না। তবে বহির্বিশ্বের চাপে গত এক দশকে মধ্যযুগীয় এই শাস্তির প্রথা থেকে সরে এসেছিল দেশটি। কিন্তু সম্প্রতি এক তরুণীকে ব্যাভিচারের অভিযোগ পাথর ছুঁড়ে হত্যার রায়ই শুনিয়েছে সুদানের একটি আদলত। কুড়ি বছরের তরুণীর নাম মারিয়াম আলসায়েদ। মারিয়ামের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ তা জানা অবশ্য যায়নি।
তবে বর্বর শাস্তির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা একাধিক সংগঠন প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। আফ্রিকান সেন্টার ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিস (African Center for Justice and Peace Studies) দাবি করেছে, অবিলম্বে নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে মারিয়ামকে। এসিজেপিএস (ACJP) জানিয়েছে, বিচারের নামে অভিযুক্তের সঙ্গে পরিহাস করা হয়েছে। তাঁকে কোনওরকম আইনি সুবিধা দেওয়া হয়নি। এছাড়াও বলা হয়েছে, পাথর ছুঁড়ে হত্যার নিদান আসল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন, এই শাস্তি চূড়ান্ত অসভ্য ও অমানবিক।
উল্লেখ্য, গত বছর সুদানে সামরিক অভ্যুত্থান হয়। এরপর থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল, সামরিক শাসনে চলে যাওয়া দেশটি ফের সামাজিকভাবে রক্ষণশীল হয়ে উঠতে পারে। সুদানের আদালতের সাম্প্রতিক রায়ে সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। এর আগে ২০১৩ সালে এক মহিলাকে পাথর ছুঁড়ে হত্যা করা হয় সুদানে। ২০২০ সালে এই আইন শংসোধনের কথা উঠলেও কার্যক্ষেত্রে তা হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.