সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঋণের টোপ দিয়ে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের মতো দেশগুলিকে আগেই কবজা করেছে চিন (China)। এবার বিনিয়োগের আড়ালে অন্য দেশের শিল্প হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে কমিউনিস্ট দেশটি। তবে সেই ফাঁদে পা দিতে নারাজ তাইওয়ান (Taiwan)। পালটা জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে এবার দেশে চিনা বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির বিনিয়োগে রাশ টেনেছে তাইপেই।
বুধবার তাইওয়ানের ইনভেস্টমেন্ট কমিশনের মুখপাত্র সু চি-য়েন জানান, চিনা ফৌজ ও কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ন্ত্রিত কোনও বাণিজ্যিক সংস্থা তাইওয়ানে বিনিয়োগ করতে পারবে না। তিনি বলেন, “বিশ্বজুড়েই চিনা বিনিয়োগ প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এর কারণ হচ্ছে, ভিন দেশের প্রযুক্তি ও তথ্য হাতিয়ে নিতে বিনিয়োগকে হাতিয়ার করছে চিন। তাই জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এই পদক্ষেপ করেছি আমরা। শুধু আমরাই নয়, চিনা বিনিয়োগে রাশ টেনেছে আমেরিকা, জার্মানি, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া।” তাইপেই টাইমস সূত্রে খবর, বুধবার থেকেই এই নয়া নিয়ম বলবৎ হয়েছে। এই নিয়ম ভাঙলে ২৫ মিলিয়ন তাইওয়ানিজ ডলারের জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। এছাড়া, তাইওয়ান থেকে চিনে রপ্তানি হওয়া তথ্য ও প্রযুক্তির উপরও রাশ টানতে চলেছে সে দেশের প্রশাসন।
উল্লেখ্য, স্বশাসিত গণতান্ত্রিক দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানকে বরাবর নিজের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে দাবি করে এসেছে চিন। তাইপেই কবজা করতে প্রয়োজনে সামরিক পদক্ষেপ করা হতে পারে বলেও হুঙ্কার দিয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। আগ্রাসী চিনকে (China) রুখে দিতে নয়া সাবমেরিন বাহিনী তৈরি করার পরিকল্প হাতে নিয়েছে তাইওয়ান। গত মাসে এমনটাই জানিয়েছিলেন গণতান্ত্রিক দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। এই কাজে তাইপেইকে মদত দেবে আমেরিকা। লালফৌজের হামলা ঠেকাতে সামরিক বাহিনীকে অত্যাধুনিক হাতিয়ারে সাজিয়ে তুলছে তাইওয়ান। দ্বীপরাষ্ট্র হওয়ার সুবাদে সমুদ্রেই চিনকে রুখে দিতে এবার দেশেই অত্যাধুনিক সাবমেরিন বাহিনী তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। বর্তমানে তাইওয়ানের কাছে যে ডুবোজাহাজগুলি আছে সেগুলি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আমলের। তাই সাবমেরিন বাহিনীর আধুনিকীকরণে মন দিয়েছে দেশটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.