সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তান দখল করার পর তালিবান (Taliban) জানিয়েছিল, তারা বদলে গিয়েছে। কিন্তু যত সময় এগিয়েছে তত পরিষ্কার হয়েছে ‘তালিবান ২.০’ বলে আলাদা কিছু নেই। জেহাদিরা আগের মতোই নিষ্ঠুর। আর অত্যাচারের সেই ঘটনা তুলে ধরার ‘অপরাধে’ এবার সাংবাদিকদের উপর নেমে আসছে তালিবানি খাঁড়া।
বৃহস্পতিবার রাজধানী কাবুলে বিরাট প্রতিবাদী মিছিল বের করে আফগান মহিলারা। তালিবদের অত্যাচার, নারীশিক্ষা ও মহিলাদের অধিকার রক্ষায় বের করা হয়েছিল ওই মিছিল। প্রায় ২০ জন প্রতিবাদী মহিলা মাথায় রংচঙে স্কার্ফ পড়ে আফগান শিক্ষামন্ত্রকের পাশে বিক্ষোভ দেখান। আর সেই মিছিলের খবর সংগঠন করতে যাওয়ার ‘অপরাধে’ সাংবাদিকদের বেদম মারধর করে তালিবান জঙ্গিরা। এএফপি সূত্রে খবর, প্রথম ঘণ্টাখানেক মহিলাদের বিক্ষোভ দেখাতে দেয় তালিবান। তারপরই শুরু হয় জোরজুলুম। রাইফেলের বাঁট দিয়ে মাথায় প্রহর করা হয় এক বিদেশি সংবাদকর্মীর। সবমিলিয়ে আক্রান্ত হন মোট পাঁচজন সাংবাদিক।
তালিবানের আমলে অশিক্ষার অন্ধকার গ্রাস করছে আফগানিস্তানকে। ক্ষমতায় এসে মহিলাদের অধিকার রক্ষার কথা বলেছিল তালিবান। অনেকেই ভেবেছিলেন যে এবারে হয়তো কিছুটা বদলেছে তালিবরা। কিন্তু আশঙ্কা সত্যি করে স্বমেজাজে ফিরেছে তারা। কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পর স্কুলেও মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে জেহাদি সংগঠনটি। কর্মক্ষেত্রেও মহিলাদের উপর বাধানিষেধ জারি করেছে তালিবান।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, হেলমন্দ প্রদেশের নাপিত এবং স্যালোঁগুলির জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, দাড়ি কাটা বা ছাঁটা ইসলাম বিরোধী। তাই কেউ দাড়ি কাটতে বা ছাঁটতে এলে তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে। অন্যথায় শাস্তির মুখে পড়তে হবে নাপিতদের। একই ধরনের নির্দেশিকা জারি হয়েছে কাবুলেও। সবমিলিয়ে, আবারও অন্ধকার যুগে ফিরে যাচ্ছে ‘কাবুলিওয়ালার দেশ’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.