সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে আরও ভয়ংকর আকার নিয়েছে গৃহযুদ্ধ। পাহাড়ি দেশটির প্রায় আশি শতাংশ দখল করে ফেলেছে তালিবান জঙ্গিগোষ্ঠী। তবে একইসঙ্গে আমেরিকার মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনা চালাচ্ছে জেহাদি সংগঠনটি। সেই প্রসঙ্গে আফগানিস্তানে নিযুক্ত বিশেষ মার্কিন দূত জালমে খলিলজাদ জানিয়েছেন যে আফগান প্রশাসনে ক্ষমতার সিংহভাগ দাবি করেছে তালিবান (Taliban)।
‘Aspen Security Forum’ভারচুয়াল আলোচনা সভায় খলিলজাদ বলেন, “এই মুহূর্তে সামরিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠিত হলে সেখানে ক্ষমতার সিংহভাগ চাইছে তালিবান। এটা হচ্ছে সংগঠনটির মধ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াই।” বলে রাখা ভাল, ২০২০ সালে আমেরিকা ও তালিবানের মধ্যে শান্তিচুক্তির নেপথ্য নায়ক হচ্ছেন খলিলজাদ। তার কূটনৈতিক দৌত্যের ফলেই আফগানিস্তানে প্রায় দু’দশক ধরে চলা লড়াই থেকে কিছুটা হলেও মুখরক্ষা করে বেরিয়ে আসতে পেরেছে আমেরিকা। চলতি মাসের মধ্যেই সন্ত্রাস জর্জর দেশটি থেকে প্রায় ৯৮ শতাংশ মার্কিন ফৌজ সরে যাবে বলে খবর। আর সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরোপুরি প্রস্থান করবে আমেরিকার সেনাবাহিনী। শুধুমাত্র দূতাবাস ও কাবুল বিমানবন্দরের সুরক্ষায় কিছু সংখ্যক মার্কিন সেনা থাকবে ওই দেশে।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ৯/১১ হামলার পর ‘মিশন আফগানিস্তান’ শুরু করে মার্কিন ফৌজ। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ জুনিয়রের নেতৃত্বে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে আমেরিকা। আফগান মিলিশিয়াদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মাস খানেকের লড়াইয়ের পর তালিবানকে কাবুল থেকে বিতাড়িত করে মার্কিন ফৌজ। কিন্তু তারপর পরিস্থিতি পালটেছে। প্রায় দুই দশক কেটে গেলেও তালিবানের বিনাশ সম্ভব হয়নি। আর লাগাতার যুদ্ধে অর্থনৈতিক চাপের মুখে পড়েছে ওয়াশিংটন। ফলে ২০২০ সালে কাতারের রাজধানী দোহায় তালিবানের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে এবার দেশটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে হোয়াইট হাউস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.