সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। গাজায় ইজরায়েলের রক্তক্ষয়ী অভিযান। সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সংঘাতেও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এশিয়া। কোনও কোনও দেশ জেরবার গৃহযুদ্ধে। কিন্তু এমন অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেও সুখে জীবন কাটাচ্ছে বেশ কিছু শহরের বাসিন্দারা। লোভহীন সহজ জীবনই তাঁদের সুখের চাবিকাঠি। এই তালিকায় বিশ্বের সেরা দশটি শহর।
প্রতি বছর, ইনস্টিটিউট ফর কোয়ালিটি অফ লাইফ তালিকা প্রকাশ করেছে। হ্যাপি সিটি ইনডেক্স। খোলা জায়গা, অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি, শিক্ষা, অর্থনীতি এবং পরিবেশ সুরক্ষার উপর ভিত্তি করে শহরগুলোকে তালিকাভুক্ত করা হয়। এই বছরের তালিকা অনুযায়ী সুখী শহর হিসাবে প্রথমেই নাম রয়েছে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনের। রিপোর্ট মোতাবেক, এই শহর ইতিহাস, আধুনিকতা ও স্থায়িত্বের মিশ্রণ ঘটায়। শিক্ষা ও উদ্ভাবনের দিক দিয়েও এই শহর সেরা। এখানে মানুষের কর্মজীবনের ভারসাম্যকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। তাই কোপেনহেগেনে কর্ম সপ্তাহ গড়ে মাত্র ৩৭ ঘন্টা। এছাড়া শহরটিতে পরিবেশবান্ধব পরিবহণ চলাচল করে, পরিষ্কার বাতাসে মানুষ শ্বাস নেয়। চারপাশ সবুজে ঘেরা।
দ্বিতীয় জুরিখ (সুইজারল্যান্ড)- চমৎকার জনসেবা, শক্তিশালী অর্থনীতি এবং শান্ত পরিবেশের জন্য বিখ্যাত জুরিখ। বিশ্বের অন্যতম ধনী শহর এটি। গড় আয় জাতীয় গড় আয়ের তুলনায় ৭৫ শতাংশ বেশি। শুধু তাই নয়, জুরিখের রাস্তাঘাটও সবচেয়ে নিরাপদ। এখানে প্রতি ১০,০০০ বাসিন্দার মধ্যে রাস্তায় দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার মাত্র ০.০৭ শতাংশ।
তৃতীয় সিঙ্গাপুর- উন্নতমানের পরিবহণের কারণে এই শহর পরিবেশবান্ধব। এখানকার বাসিন্দাদের গড় আয়ু অন্য শহরের তুলনায় বেশি।
চতুর্থ আরহাস, (ডেনমার্ক)- কোপেনহেগেনে পর ডেনমার্কের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আরহাস। স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উপর জোর দেওয়ার কারণে এখানে প্রতি ১,০০০ বাসিন্দার জন্য সাড়ে ৪ জন ডাক্তার পরিষেবা প্রদান করেন। সকল বাসিন্দারই স্বাস্থ্যবীমা রয়েছে। এখানকার মানুষ সাধারণত সুস্থ জীবনযাপন করে।
পঞ্চম অ্যান্টওয়ার্প, (বেলজিয়াম)- শেল্ড্ট নদীর তীরে অবস্থিত এই শহরটি পরিবহণ, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে। গড় আয়ু ৮২ বছর। জনসংখ্যার ৭ শতাংশ জীবনব্যাপী শিক্ষা গ্রহণ করে এবং ২৮ শতাংশের স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে।
ষষ্ঠ সিউল (দক্ষিণ কোরিয়া)- আধুনিকতা এবং সংস্কৃতির মিশ্রণে এই শহর প্রাণবন্ত। অত্যাধুনিক পরিকাঠামো এবং প্রযুক্তির পাশাপাশি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এই শহরকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলেছে। কার্যকর গণপরিবহণ ব্যবস্থা এবং উচ্চমানের শিক্ষার কারণে জীবনযাত্রাও উন্নত।
সপ্তম স্টকহোম (সুইডেন)- এই শহর তার মনোরম দ্বীপপুঞ্জের জন্য জনপ্রিয়। উচ্চমানের জনসেবা এবং সমাজকল্যাণের জন্য শহরটি জীবনযাত্রার উচ্চমানের। চারদিক সবুজে ঘেরা।
অষ্টম তাইপেই (তাইওয়ান)- প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের কারণে তাইওয়ানের রাজধানী বিখ্যাত। এই শহরের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার মান খুবই উন্নত। তাইপেইতে অসংখ্য আন্তর্জাতিকমানের স্বীকৃত কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেখানে সারা বিশ্ব থেকে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে আসে।
নবম মিউনিখ (জার্মানি)- এই শহরের অর্থনীতি শক্তিশালী। শিল্প, ব্যাংকিং এবং প্রযুক্তি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্র উন্নত। বহু বিশ্বব্যাপী কর্পোরেট সংস্থার সদর দপ্তর এখানে। ফলে কর্মসংস্থানের হারও খুব ভালো।
দশম রটারডাম (নেদারল্যান্ডস)- এই শহর প্রাণবন্ত। সংস্কৃতি ও স্থাপত্যের জন্য পরিচিত। রটারড্যাম পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎসের ব্যবহার এবং কার্বন নিঃসরণ কমাতে বিশেষভাবে কাজ করে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.