সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স ৬৭। শরীরের ৯১.৫ ভাগই নানা রঙের ট্যাটুতে মোড়া। পরিণাম?
গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডের স্বীকৃতি। প্রায় সারা শরীর ট্যাটুর রঙে রাঙিয়ে ফ্লোরিডার শার্লট গুটেনবার্গ পেলেন ‘মোস্ট ট্যাটুড ফিমেল সিনিয়র সিটিজেন’-এর খেতাব!
গিনেস বুক লিখেছে, প্রথম ট্যাটুটা করা পর্যন্ত যা অপেক্ষা! তার পরেই দাবানলের মতো শার্লটের সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে ট্যাটুর আঁকিবুকি।
জানা গিয়েছে, পেশায় লেখিকা এবং ফিটনেস ট্রেনার শার্লটের এই ট্যাটু উন্মাদনা শুরু হয়েছিল বহু বছর আগেই। তার পরে সময় যত এগিয়েছে, শিল্পের কাছে শরীর সঁপে দিয়েছেন মহিলা।
তবে, শার্লট একাই নন! তাঁর স্বামীটিও ট্যাটুর জন্য নজর কেড়েছেন বিশ্ববাসীর। প্রাক্তন ইউএস আর্মি-কর্মচারী চার্লস হেলমকে ট্যাটুর অনুপ্রেরণা পান ১৯৫৯ সালে। তার পরে স্ত্রীর মতো তাঁর শরীরও স্বীকার করেছে ট্যাটুর সাজ। চার্লসের শরীরের ৯৩.৭৫ ভাগ ট্যাটুতে মোড়া বলে জানা গিয়েছে। যার জন্য গিনেসের তরফে তিনি পেয়েছেন ‘মোস্ট ট্যাটুড মেল সিনিয়র সিটিজেন’-এর তকমা!
তবে এখানেই কিন্তু শেষ হয়নি শার্লটের ট্যাটুযাত্রা। শেষ ট্যাটুটি তিনি করিয়েছেন ২০০৬ সালে। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত চলছে পরিকল্পনা- পরের ট্যাটুর ডিজাইন কী হবে, শরীরের কোন অংশে ঠাঁই পাবে সেই ট্যাটু ইত্যাদি প্রভৃতি!
কে বলতে পারেন, হয়তো আপনি যখন এই লেখা পড়ছেন, তখন নতুন ট্যাটুর জন্য ট্যাটুচিত্রীর দরবারে পৌঁছে গিয়েছেন শার্লট!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.