সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন এক উলট পুরাণ। যেখানে বহু দরিদ্র দেশে এখনও করোনার (Coronavirus) টিকাকরণের (Vaccination) হার বেশ কম, সেখানে নিউজিল্যান্ডে (New Zealand) দাবি উঠল সেদেশে টিকাকরণকে আবশ্যিক করা যাবে না। এই দাবিতে পথে নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। পরিস্থিতি দেখে সতর্কতা অবলম্বন করতে নিউজিল্যান্ডের সংসদে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সংসদে ঢোকার দুই প্রবেশপথ। প্রচুর পরিমাণে পুলিশ ও নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও প্রতিবাদ ছিল শান্তিপূর্ণই।
ঠিক কী দাবি বিক্ষোভকারীদের? তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ‘স্বাধীনতা’ কিংবা ‘কিউইরা গিনিপিগ নয়’-এর মতো স্লোগান। তারা জানাচ্ছে, সরকার সব রকম নিষেধাজ্ঞা তুলে নিক। সেই সঙ্গে টিকাকরণ সকলের জন্য বাধ্যতামূলক করার সরকারি সিদ্ধান্তও প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক বলেই দাবি।
সংসদের বাইরে উপস্থিত এক বিক্ষোভকারী সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ”আমাকে জোর করা যাবে না। জোর করে আমার শরীরে এমন কিছু প্রবেশ করানো যাবে না যা আমি চাই না। আমার সরকারের কাছে দাবি, ২০১৮ ফিরিয়ে দাও। সোজা কথা। আমার স্বাধীনতা আমি ফেরত চাই।”
গোটা বিশ্বের মতোই নিউজিল্যান্ডও করোনার দাপটে নাজেহাল। সংক্রমণে রাশ টানতে লকডাউন কিংবা অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। গত মাসেই সেদেশের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন পরিষ্কার করে দিয়েছেন, দেশে ৯০ শতাংশ টিকাকরণ না হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। ততদিন পর্যন্ত যাবতীয় কড়াকড়ির পথেই থাকবে প্রশাসন। আর এতেই ক্ষুব্ধ দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, এহেন সিদ্ধান্ত তাঁদের স্বাধীনতার পরিপন্থী। অবিলম্বে তাই এই ধরনের পদক্ষেপ থেকে সরে আসুক প্রশাসন।
উল্লেখ্য, যদিও বিশ্বের বহু দেশের তুলনাতেই নিউজিল্যান্ডে এখনও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সংক্রমণ। এখনও পর্যন্ত সেদেশে আক্রান্ত হয়েছে ৮ হাজার জন। মৃত ৩২। মঙ্গলবারও নতুন করে ১২৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যেই দেশের ৮০ শতাংশ মানুষের টিকাকরণ হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.