সুমিতা ভাস্কর: জেলেই বন্দি তাঁরা। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য সরব হয়েছিলেন, তাই তাঁদের ঠাঁই হয়েছে কারাগারে। তবে তাঁদের কণ্ঠকে স্বীকৃতি দিল রাষ্ট্রসংঘ (United Nations)। যে দেশে হিজাবে মুখ না ঢেকে মহিলাদের ঘরের বাইরে বেরনো একপ্রকার অপরাধ, সেখানেই তাঁরা সরব হয়েছেন বাকস্বাধীনতার জন্য, সংবাদমাধ্যমে নির্ভয়ে সব কথা প্রকাশ করার জন্য। সেই দেশেরই তিন প্রমীলাকে এবার কুরনিশ জানাল রাষ্ট্রসংঘ।
এই তিন অকুতোভয় সাংবাদিক হলনে, নিলুফার হামেদি, এলাহি মোহমাদি এবং নারগেস মোহামাদি। সত্য এবং কাজের প্রতি দায়বদ্ধ থাকার জন্য তাঁদের কাজকে সম্মান জানানো হয়েছে। ইরানের (Iran) বছর বাইশের তরুণী মাহসা আমিনি, যিনি নীতিপুলিশদের হাতে প্রাণ দিয়েছিলেন হিজাবে ঠিকঠাক মুখটুকু না ঢাকার ‘অপরাধে’, সেই মাহসার খবরটি ব্রেক করেই এখন কারাগারে নিলুফার। আর সেই ব্রেকিং নিউজই সম্মান এনে দিল তাঁকে।
এলাহি মোহামাদি লিখেছিলেন মাহসা আমিনির শেষযাত্রার খবর। যে খবর গোটা ইরান জুড়ে তুলেছিল প্রতিবাদের ঢেউ। তাতেই রাষ্ট্রসংঘে সম্মানিত এলাহি। অন্যদিকে, ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম পুরস্কার পাচ্ছেন নারগেস মোহামাদি। জেলে বন্দি থেকেও ইরানের মহিলা, তাঁদের জীবনযাত্রা, মহিলাদের স্বাধীনতা নিয়ে বারবার খবর করেছিলেন এই নারগেস। জেলের ভয় থামাতে পারেনি তাঁর কলম। তাঁকেও সম্মানিত করল রাষ্ট্রসংঘ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.