প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অজ্ঞাত বন্দুকবাজের গুলিতে পাকিস্তানে খতম ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড লস্কর জঙ্গি সইফুল্লা খালিদ। পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তার। ভারতের মাটিতে ৩টি বড় জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিল এই সইফুল্লা। কে বা কারা এই জঙ্গিকে হত্যা করল তা জানা না গেলেও, মোস্ট ওয়ান্টেড এই জঙ্গির মৃত্যু ভারতের জন্য যে স্বস্তির খবর তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
জানা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে নেপালে লস্করের সংগঠন বাড়ানোর দায়িত্বে ছিল এই সইফুল্লা। সেখান থেকেই ভারতের একের পর এক জঙ্গি হামলা চালায়। ভারতের গোয়েন্দা বিভাগ নেপালে এই জঙ্গির অবস্থান জেনে যাওয়ায় সম্প্রতি সেখান থেকে পাকিস্তানে ফিরে আসে। লস্কর জঙ্গি গোষ্ঠী ও পাক সেনা তাকে সিন্ধে গা ঢাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। তবে এতকিছুর পরও অবশ্য অজ্ঞাতপরিচয়ের হাতে মৃত্যু হল এই জঙ্গির। জানা যাচ্ছে, রবিবার দিনদুপুরে সিন্ধের মলতি ফলকারা চক এলাকায় অজ্ঞাতপরিচয় কেউ গুলিতে ঝাঁজরা করে দেয় সইফুল্লাকে।
তদন্তকারীদের তরফে জানা যায়, পাকিস্তান থেকে নেপালে ঘাঁটি গেড়ে থাকার সময় বিনোধ কুমার নাম নেয় সইফুল্লা। নিরাপত্তাবাহিনীর চোখে ধুলো দিতে এমন বহু নাম ব্যবহার করেছে এই জঙ্গি। গোয়েন্দা বিভাগের তরফে জানা যায়, ২০০৬ সালে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে আরএসএসের সদর দপ্তরে হামলা, ২০০১ সালে রামপুরে সিআরপিএফ ক্যাম্পে হামলা, ২০০৫ সালে বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের অডিটরিয়ামে আন্তর্জাতিক সম্মেলন চলাকালীন জঙ্গি হামলার ঘটনার নেপথ্যে ছিল এই জঙ্গি।
পাকিস্তান যে সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর, অপারেশন সিঁদুরের পর এই বিষয়ে অবগত গোটা বিশ্ব। পহেলগাঁও হামলার প্রত্যাঘাতে পাকিস্তান ও অধিকৃত অকাশ্মীরে ৯ জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। তারপরও অবশ্য কুকুরের লেজ সোজা হয়নি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া তো দূর সন্ত্রাসীদের মৃত্যুতে তাদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে দেখা গিয়েছিল পাক সেনা আধিকারিকদের। সেই ছবি ভারত সরকার প্রকাশ্যে আনার পর বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়ে পাকিস্তান। তবে এতকিছুর পরও পাকিস্তনের চরিত্রে যে কোনও বদল নেই তা প্রমাণ হয়ে গেল সিন্ধে এই মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গির মৃত্যুতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.