সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগাম সতর্কতা সত্ত্বেও বিপর্যয় এড়ানো গেল না৷ রাতভর টর্নেডোর দাপটে তছনছ হয়ে গেল মধ্য আমেরিকার ওহাইও ও ইন্ডিয়ানা প্রদেশ। ঘরবাড়ি হারিয়েছেন বহু মানুষ৷ জখম অসংখ্য। ঝড়ের দাপটে বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিষ্প্রদীপ হয়ে পড়েছে। উপড়ে পড়েছে বহু গাছ। যদিও এখনও কারও মৃত্যুর খবর আসেনি। তবে হড়পা বানের আগাম সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর।
ওহিয়ো ৮৩বছরের বাসিন্দা রিচ স্কারম্যানের কথায়, ‘এমন একটা টর্নেডো হবে, তার আভাস ছিল আগেই৷ সোমবার আমার মোবাইলে সতর্কবার্তাও এসেছিল৷ কিন্তু আমি গুরুত্ব দিইনি৷ তাতেই এমন বিপদ৷’ সোমবার রাতভর ঝড়ের দাপটে অন্তত ৫০ লক্ষ মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। একদিকে নিষ্প্রদীপ অন্যদিকে বিদ্যুতের অভাবে জল সরবরাহ ব্যবস্থা লাটে উঠেছে। জলাধার ও পাম্পিং স্টেশনগুলি কার্যত অকেজো হয়ে পড়েছে।
ঝড়ের দাপট একটু কমতেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে তল্লাশি ও উদ্ধার কাজ। ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসস্তূপের কারণে উদ্ধার কাজ কিছুটা হলেও ব্যাহত হচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কাজে নেমে উদ্ধারকারীদের প্রথমে ধ্বংসস্তূপ সরাতে হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে পড়া নির্মাণ সরানোর আগে সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসাবে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে গ্যাস সরবরাহ। বিধ্বংসী ঝড়ে জখম হয়ে অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল,কলেজ। বেশ কিছু স্কুল দুর্গতদের আপদকালীন আশ্রয় হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। উপড়ে পড়া গাছ, ও ধ্বংসস্তূপের পাহাড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ শুরু হলেও কতদিনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। মঙ্গলবারই জাপান সফর সেরে দেশে ফিরে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়ে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এক সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে তিনবার টর্নেডো আছড়ে পড়ল মধ্য আমেরিকায়। গত সপ্তাহের শেষে বিধ্বংসী ঝড়ে ওকলাহোমায় অন্তত দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। মিসৌরির জেফারসন শহরে ২৬০ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ায় মৃত্যুর মুখে পড়েছেন তিনজন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.