সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহেও পাকিস্তানে থামছে না হিন্দু নির্যাতন।এবারও শিরোনামে সেই সিন্ধ প্রদেশ। অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবার দুই হিন্দু যুবতীকে অপহরণ করল স্থানীয় এক রাজনীতিবিদের ভাই।
সদ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছে সিন্ধ প্রদেশের একটি হিন্দু পরিবার।ভিডিওটিতে পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ জানিয়েছেন, ‘তাদের পরিবারের দুই নাবালিকা সদস্য সুথি ও শমাকে অপহরণ করেছে পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের সদস্য পির ফয়জল শাহ জিলানির ভাই। মুখ খুললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। উলটে অপহরণকারীর পক্ষেই দাঁড়িয়েছে তারা। সুথি ও শমাকে জোর করে বিয়ের পর ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হবে। আমরা এত অত্যাচার আর সইতে পারছি না। এবার দেশ ছেড়েই আমাদের চলে যেতে হবে।’
পাকিস্তানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার নতুন কিছু নয়। সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের ঘটনা ঘটে সিন্ধ প্রদেশে। বারবার অভিযোগ সত্ত্বেও মেলেনা সুবিচার। বিগত কয়েক দশকে সিন্ধ থেকে ভারতে পালিয়ে এসেছেন বহু হিন্দু ও শিখ পরিবার। ২০১৬ সালে সিন্ধ প্রদেশের আইনসভায় জোর করে ধর্মান্তরকরণের বিরুদ্ধে বিল পাশ হয়েছিল। তার পরেও এই ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আশ্বাস কোনও কাজে আসছে না। সব মিলিয়ে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের যে প্রত্যহ নির্যাতনের শিকার হতে হয় তা স্পষ্ট। বিশেষ করে সিন্ধ প্রদেশে শিখ ও হিন্দু যুবতীদের অপহরণ করে ধর্মান্তরিত করা হয়। নয়া আইন এনেও বিশেষ কোনও ফল পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের আদমশুমারি মতে পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ১.৮৫ শতাংশ হিন্দু। ‘গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস ডিফেন্স’ (GHRD) নামের একটি মানবাধিকার সংস্থার মতে, পাকিস্তানে প্রতিবছর গড়ে ১ হাজার হিন্দু ও খ্রিস্টান তরুণীকে ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়। প্রতিমাসে গড়ে ২৫ জন করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের তরুণীর অপহরণ হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.