সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি নিয়ে ক্ষুব্ধ গোটা বিশ্ব। খোদ মার্কিন মুলুকের অন্দরেই দেখা যাচ্ছে বিক্ষোভের আঁচ। ফেসবুক সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ, গুগল সিইও সুন্দর পিচাইয়ের পর এবার উষ্মা প্রকাশ করলেন উবের সিইও ট্রাভিস কালানিকও। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় তাঁর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কমিটি থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। এর আগে অবশ্য অনেকেই ওই কমিটিতে থাকার জন্য ট্রাভিসের সমালোচনা করেন। এরপরেই বৃহস্পতিবার সকালে ট্রাম্পের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন ট্রাভিস। তারপরেই নিজের কর্মচারীদের একটি বার্তায় জানান, তিনি অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কমিটি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। লেখেন, ‘ওই কমিটিতে থাকার মানে এই নয় যে আমি ট্রাম্পের পরিকল্পনার অংশ। কিন্তু লোকে সেটা ভুল বুঝেছে।’ ট্রাভিসের ঘোষণার পরেই উবেরের মুখপাত্রও এর সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন।
আমেরিকায় উবের চালকদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন। তাই ট্রাম্পের ঘোষিত নীতির কারণে অনেককে চাকরি হারানোর আশঙ্কা করতে থাকেন। আর এরপরেই ট্রাভিসের উপদেষ্টা কমিটিতে থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়। কেউ কেউ ওই কমিটি থেকে তাঁর ইস্তফাও দাবি করেন। তারপরেই ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাভিস। কর্মচারীদের লেখা বার্তায় তিনি আরও বলেন, ‘নতুন এই অভিবাসন নীতিতে পরিবর্তন আনার জন্য আমাদের আরও কাঠখড় পোড়াতে হবে। কিন্তু সেটা এই কমিটিতে থেকে সম্ভব নয়। ট্রাম্পের নতুন বিদেশনীতি আমেরিকায় বসবাসকারী সমস্ত শ্রেণির মানুষের মনে আঘাত করছে। অনেক পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। অনেকেই আমেরিকায় প্রবেশ করতে পারছেন না। শরণার্থীরা অনেকেই এখন আমেরিকায় থাকতে ভয় পাচ্ছেন।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.