সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) নিকেশ লস্কর জঙ্গি নেতা হাঞ্জলা আদনান। ২০১৫ সালে কাশ্মীরের উধমপুরে (Udhampur) ভারতীয় সেনার উপরে হামলার ছক কষেছিল সে। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে মাঝরাতে গুলিবিদ্ধ হয় এই জঙ্গি নেতা। তার পর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনের মধ্যেই পাকিস্তানের মাটিতে নিকেশ হয়েছে একের পর এক জঙ্গিনেতা। সোমবারই পাকিস্তানের জেলে বিষক্রিয়ার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন ২৬/১১ হামলার অন্যতম মূল চক্রী। তার পর মঙ্গলবার এক লস্কর জঙ্গির মৃত্যুর খবর প্রতিবেশী দেশ থেকে।
সূত্রের খবর, জঙ্গিদের মনোবল বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণ দিতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পাঠানো হয়েছিল হাঞ্জলাকে। কয়েকদিন আগেই তাকে করাচিতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ২ ডিসেম্বর মাঝরাতে গুলিবিদ্ধ হয় এই কুখ্যাত জঙ্গি নেতা। মোট চারটি গুলি লাগে তার দেহে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পাকিস্তানের সেনা। তবে ৫ ডিসেম্বর করাচির হাসপাতালে মৃত্যু হয় হাঞ্জলার। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে উধমপুরে ভারতীয় সেনার কনভয়ে হামলা চালায় লস্কর জঙ্গিরা। মৃত্যু হয় ২ বিএসএফ জওয়ানের। এই ঘটনায় চার্জশিট গঠন করে তদন্ত চালাচ্ছে এনআইএ।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনে একের পর এক জঙ্গিনেতার মৃত্যু হয়েছে পাকিস্তানে। তাদের মধ্যে অনেকেই ভারতের হিটলিস্টে ছিল। এক রিপোর্ট বলা হয়েছে, গত দুবছরে পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত হেনেছে গুপ্তঘাতকরা। মৃত্যুবাণের শিকার হয়েছে অজ্ঞাত অন্তত বারো জন জেহাদি। নিহতদের মধ্যে রয়েছে লস্কর-ই-তইবা (Lashkar-E-Taiba), হিজবুল মুজাহিদিন, জইশ-ই-মহম্মদ ও খলিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের নেতারা।
সাম্প্রতিকতম ঘটনা ১৩ নভেম্বরের। করাচিতে ঘাতকদের হাতে প্রাণ দেয় মৌলানা রহিমউল্লা তারিক। জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ ছিল সে। এর আগে, ৯ নভেম্বর খুন হয় লস্কর জঙ্গি আকরাম খাব ওরফে আকরাম গাজী। থাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে তাকে গুলি করে খুন করা হয়। তার পরেই জানা হাঞ্জলার মৃত্যুর খবর। তবে এই ঘটনাগুলোকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে পাক সরকার। তাদের দাবি, ঘটনার নেপথ্যে শত্রুদেশের গুপ্তচর সংস্থার হাত রয়েছে। ইঙ্গিতে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’ (RAW)কেই দায়ী করছে ইসলামাবাদ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.