সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ টালবাহানা, হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বাদানুবাদের পর অবশেষে শান্তির লক্ষ্যে এক কদম বাড়িয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সৌদি আরবের জেদ্দার বৈঠকে রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি জানিয়েছে ইউক্রেন। এরই প্রকাশ্যে এল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিবৃতি। তিনি জানালেন, ”ইউক্রেন রাজি হয়েছে, এবার রাশিয়ার পালা। আশা করব ওরাও যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হবে।”
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এদিন ট্রাম্প বলেন, “সম্প্রতি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইউক্রেন। এবার আমরা রাশিয়াতে যাব এবং আশা করব প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হবেন। একের পর এক শহরে বিস্ফোরণের জেরে সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। আমরা চাই এই যুদ্ধের অবসান হোক।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “আমরা চাই পূর্ণ যুদ্ধবিরতি হোক। ইউক্রেন এই প্রস্তাবে রাজি আশা করি রাশিয়াও রাজি হবে। এই মুহূর্তে যুদ্ধবিরতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি রাশিয়াকে রাজি করিয়ে এটা করতে পারি তাহলে তা দুর্দান্ত বিষয় হবে। যদি না পারি সেক্ষেত্রে আরও অসংখ্য মানুষ মারা পড়বেন।”
৩ বছরের বেশি সময় ধরে চলতে থাকা রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নিয়ে দোলাচলে ছিল বিশ্ব। সাদা বাড়ির দখল নেওয়ার পর এই যুদ্ধ থামাতে তৎপর হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ২৮ ফেব্রুয়ারি ওভাল অফিসের উত্তপ্ত সেই বাদানুবাদ বদলে দিয়েছিল সব আন্তর্জাতিক সমীকরণ। রীতিমতো ঘাড়ধাক্কা দিয়ে ওভাল অফিস থেকে তাড়ানো হয় জেলেনস্কিকে। শুধু তাই নয়, ইউক্রেনকে সমস্ত রকম সামরিক সাহায্য বন্ধ করে দেয় আমেরিকা। এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়ে পিছু হঠেন জেলেনস্কি।
আমেরিকার প্রস্তাব মেনে শান্তি সমঝোতা করতে সৌদি আরবে আসেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। সেখানে মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিওর সঙ্গে প্রায় ৯ ঘণ্টা আলোচনার পর রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেন জেলেনস্কি। ইউক্রেনের এই সদর্থক পদক্ষেপের পর বন্ধ করে দেওয়া সামরিক সাহায্য ফের চালু করা হয়েছে। তবে এই প্রস্তাবে রাশিয়া রাজি হবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বল যে এখন মস্কোর কোর্টে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.