সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চারদিন ধরে প্রবল যুদ্ধ। আকাশ এবং স্থলপথে রুশ সেনা যেমন দাপটের সঙ্গে ইউক্রেনের একের পর এক বড় শহরে ঢোকার চেষ্টা করছে, তেমনি সাধারণ নাগরিকদের একাংশের সহায়তায় প্রতিরোধ গড়ে উঠছে। কিন্তু এই যুদ্ধে কত মানুষের প্রাণ গেল? কতজন সাধারণ নাগরিক যুদ্ধের বলি হলেন? দুই দেশের কত সেনাই বা মারা গেলেন? তার সঠিক পরিসংখ্যান এখনও মেলেনি। সরকারি সূত্র বলছে, এখনও পর্যন্ত দু’ পক্ষের হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গিয়েছে। এর মধ্যে ২৪০ জন আম নাগরিক। কিন্তু ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এই সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি হতে পারে। মৃতের সঠিক পরিসংখ্যান না পাওয়ার কারণ রাশিয়ার (Russia) কৌশল। অনেক মৃতদেহ নাকি রাশিয়ার সেনাবাহিনী রীতিমতো ভ্যানিশ করে দিচ্ছে। সঙ্গে চলমান শ্মশান নিয়ে ঘুরছে তারা।
কী এই চলমান শ্মশান? এটা একটা বিশেষ ধরনের ট্রাক। যার মধ্যে রয়েছে জ্বলন্ত চুল্লি। মৃতদেহ ওই জ্বলন্ত চুল্লিতে ঢুকিয়ে দিতে পারলেই কেল্লাফতে। নিমেষে তা পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। সাঁজোয়া গাড়ি বা অস্ত্রশস্ত্র-গোলাবারুদ ছাড়াও বিশেষভাবে তৈরি এই চলমান শ্মশান (Mobile Crematoriums) সঙ্গে নিয়ে ঘুরছে পুতিনের বাহিনী। এতে নাকি নিহত রাশিয়ার সৈনিকদের দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
আমেরিকা এবং ইউরোপের একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, রাশিয়া যুদ্ধে (Ukraine-Russia War) ক্ষয়ক্ষতির আসল পরিসংখ্যান আড়াল করতেই এই ধরনের চুল্লি নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়েছে। একদিকে যেমন এতে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর দেহ পোড়ানো হচ্ছে। অন্যদিকে তেমনি পোড়ানো হচ্ছে যুদ্ধ নিহত সাধারণ নাগরিকদের দেহও। যাতে যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি আড়াল করা যায়। রাশিয়ার তরফে এই ধরনের কোনও পদক্ষেপের কথা স্বীকার করা না হলেও যুদ্ধরত সৈনিকদের পরিবারের অনেকেই এই ধরনের অভিযোগ করছেন।
এদিকে রাশিয়ায় বাড়ছে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ। শনিবারও রাশিয়ার বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন যুদ্ধ বিরোধীরা। কঠোর হাতে তাদের দমন করছে প্রশাসনও। সংবাদসংস্থা এএফপি সূত্রের খবর, শুধু শনিবারই ৩ হাজার যুদ্ধ বিরোধীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.