সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত একমাসের মধ্যেই দ্বিতীয়বার। ফের রুশ নজরদারি বিমান ধবংসের দাবি জানালো ইউক্রেন। রাশিয়ার দুই শহরের মাঝখানে গুলি করে নামানো হয় বিমানটিকে। দেখতে দেখতে দুবছর পার হয়ে গেল রাশিয়া বনাম ইউক্রেন যুদ্ধের। তবুও আক্রমণ-পালটা আক্রমণে বজায় রয়েছে রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের ঝাঁজ। মস্কোর প্রতিটা হামলার কড়া জবাব দিচ্ছে কিয়েভ।
বিবিসি সূত্রে খবর, শুক্রবার রাশিয়ার রস্তোভ-অন-ডন ও ক্রাসনোডার শহরের মাঝখানে দূরপাল্লার এ-৫০ রুশ নজরদারি বিমানটিকে গুলি করে নামায় ইউক্রেনের বিমানবাহিনী। এর পর কানেভস্কয় এলাকা থেকে বিমানটির ধবংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়। যুদ্ধের ময়দানে এই সাফল্যের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইউক্রেনের বায়ুসেনা প্রধান মায়কলা অলেশ্চুক। এবং টেলিগ্রামে দখলদারদের কড়া ভাষায় কটাক্ষ করে বলেন, রুশ সেনাবাহিনী যে ছুটিতে চলে গিয়েছে এই ঘটনা তারই নিদর্শন। যদিও এবিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি রাশিয়া।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জানুয়ারি আজভ সাগরে রাশিয়ার (Russia) নজরদারি বিমানটিকে গুলি করে নামিয়ে ছিল ইউক্রেন। ভারতীয় মুদ্রায় যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা। এই নজরদারি বিমানটি ছিল তৎকালীন সোভিয়েত যুগের। এটি বিভিন্ন ক্ষেপণাস্ত্র ও শত্রুপক্ষের বিমান শনাক্ত করতে সক্ষম।যুদ্ধবিমান বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এ-৫০ বিমানের ধবংসের খবর সত্যি হয় তাহলে নিঃসন্দেহে এটা রাশিয়ার ব্যর্থতা। রুশ বিমানবাহিনীর কাছেও এই ঘটনা খুবই অস্বস্তিকর হবে। মোট ছয়টি এ-৫০ নজরদারি বিমান ছিল রাশিয়ার হাতে। যার দুটি ধ্বংস হয়ে গেল ইউক্রেনের হামলায়। ফলে এখন মাত্র ৪টি বিমান রইল ক্রেমলিনের কাছে।
বলে রাখা ভালো, ২৪ ফ্রেব্রুয়ারি, শনিবার দুবছর পূর্ণ হল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। ২০২২ সালে আজকের দিনেই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান ঘোষণা করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার পরই বাঁধভাঙা জলের মতো ঢুকতে শুরু করেছিল রাশিয়ান ফৌজ। শুরুর দিকে পিছু হঠলেও, দ্রুত পালটা মার দিতে শুরু করে ইউক্রেনীয় সেনা। আমেরিকা ও ন্যাটো সামরিক জোটের মিসাইল, বোমায় বলীয়ান হয়ে বর্তমানে রণক্ষেত্রের ছবি পালটে দিয়েছে কিয়েভ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.