সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাংবাদিক জামাল খাশোগ্গির হত্যায় যোগ রয়েছে সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের (এমবিএস)। তাঁর বিরুদ্ধে জোরালো প্রমাণ মিলেছে বলে জানালেন রাষ্ট্রসংঘের এক মানবাধিকার কর্মী। ওয়াশিংটন পোস্টের সম্পাদক বিভাগের লেখর খাশোগ্গির হত্যায় আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবিও তুলেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: পিছু ছাড়ছে না খাশোগ্গির ভূত, রাজার সঙ্গে বাড়ছে যুবরাজের বিবাদ]
রাষ্ট্রসংঘে জমা দেওয়া রিপোর্টে অ্যাগনেস কাল্লামার্ড জানিয়েছেন, এই খুন নিয়ে যে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ যে রয়েছে, সেই বিষয়ে তিনি নিশ্চিত। সৌদি আরবের যুবরাজ-সহ একাধিক উচ্চ পর্যায়ের সৌদি আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত করার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। সৌদি আরবের যুবরাজের ক্ষমতা সম্পর্কে খাশোগ্গি সম্পূর্ণভাবে অবহিত ছিলেন। তা নিয়ে তিনি যথেষ্ট ভয়ও পেতেন। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, খাশোগ্গি হত্যায় বিচারের নেমে সৌদি আরবে প্রহসন হয়েছে।
২০১৮ সালের ২ অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি দূতাবাসে খুন হন সাংবাদিক জামাল খাশোগ্গি। সৌদি রাজ পরিবারের পাশাপাশি সে দেশের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত খাশোগ্গির খুনের পরেই সরব হয় তুরস্ক-সহ একাধিক দেশ। প্রাথমিকভাবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে রিয়াধ। পরে অবশ্য বলা হয়, গুপ্ত ঘাতকের হাতে খুন হয়েছেন খাশোগ্গি। এই ঘটনার তদন্তে নেমে সন্দেহভাজন প্রায় ২৪ জনকে আটক করে সৌদি সরকার। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে মহম্মদ বিন সলমনের কোনও যোগ নেই বলেও সরকারিভাবে জানায় সৌদি আরব।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াশিংটন পোস্ট দাবি করেছিল, কলামিস্ট জামাল আহমেদ খাশোগ্গির খুনিরা প্রশিক্ষণ নেয় আমেরিকাতেই। ওয়াশিংটন পোস্ট এর আগেও ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানিয়েছিল, সৌদি রাজপরিবারের পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি ও কেচ্ছার খবর ধারাবাহিকভাবে ফাঁস করেছিলেন ষাটোর্ধ্ব খাশোগ্গি। এর ফলে সৌদি রাজপুত্র মহম্মদ বিন সলমনের রোষে পড়েন তিনি।
[আরও পড়ুন: অ্যাসিডে পুড়িয়ে লোপাট খাশোগ্গির দেহ, বিস্ফোরক দাবি এরদোগানের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.