সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাফিজ সইদ এখন আক্ষরিক অর্থেই পাকিস্তানের গলার কাঁটা। তাকে না পারছে উপড়ে ফেলতে, না গিলতে। মুম্বই হামলার মূলচক্রীকে ঘুরপথে মুক্তির ব্যবস্থা করেছিল পাক প্রশাসন। সেই চাল অবশ্য বেশি দিন সফল হল না। আন্তর্জাতিক চাপে ফের হাফিজকে জেলে পুরল পাকিস্তান।
[হাফিজ সইদের মুক্তিতে মুখোশ খুলল পাকিস্তানের, কড়া সমালোচনায় ভারত]
বৃহস্পতিবার থেকে শ্রীঘর ঠিকানা হাফিজ সইদের। সূত্রের খবর, আমেরিকা এবং অন্যান্য দেশের লাগাতার বিবৃতিতে একপ্রকার বাধ্য হয়ে পাকিস্তান ২৬/১১র মূলচক্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হল। তাকে যাতে আরও বেশি দিন জেলে রাখা যায় তার জন্য পরিকল্পনাও তৈরি। সইদের বিরুদ্ধে আদালতে নতুন করে অভিযোগ আনতে চলেছে পাক প্রশাসন। প্রসঙ্গত, ২৪ ঘণ্টা আগে প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ খোলাখুলিভাবে হাফিজের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, তিনি হাফিজের বড় সমর্থক এবং লস্কর প্রধানের সঙ্গে দেখাও করেছেন। হাফিজকে নিয়ে এই সমবেদনা, সমর্থনের মধ্যে পাক প্রশাসনের এই পদক্ষেপ ঘটনা অন্য দিকে মোড় নিল। বিশেষজ্ঞদের ধারণা হাফিজকে জেলে পাঠিয়ে দুনিয়ার কাছে পাক প্রশাসন এমন বার্তা দিতে চাইছে যে এই জঙ্গি নেতার ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নেওয়া হয়েছে। তবে এর আগে হাফিজকে বেশ কয়েক মাস গৃহবন্দি করে রাখলেও পাক প্রশাসনের অপদার্থতায় মুক্তি পেয়ে যায় এই জঙ্গি নেতা।
[লস্কর জঙ্গিদের ‘বিগেস্ট সাপোর্টার’, বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি পারভেজ মুশারফের]
গত ২৪ নভেম্বর উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে হাফিজ সইদকে মুক্তির নির্দেশ দেয় পাকিস্তানের এক আদালত। হাফিজকে রেহাই দেওয়ার পর ভারত তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল। ভারতের প্রতিক্রিয়া ছিল তাকে মুক্তি দেওয়ার পাকিস্তানের দ্বিচারিতা প্রমাণ হল। এক ধাপ এগিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন হাফিজকে আটক করার বার্তা দিয়েছিল পাকিস্তানকে। তা না হলে পাকিস্তানকে আর্থিক সাহায্য ছাঁটাইয়ের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। সেই হুঁশিয়ারির কয়েক দিনের মধ্যে পাক প্রশাসনকে হাফিজকে গ্রেপ্তার করলেও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকবেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.