Advertisement
Advertisement
Tariff

মার্কিন-চিন বাণিজ্যেও ৯০ দিনের ‘সংঘর্ষবিরতি’, শুল্ক কমানোর ঘোষণা ট্রাম্প-জিনপিংয়ের

১২৫ ও ১৪৫ শতাংশের পরিবর্তে ৯০ দিনের জন্য ১০ ও ৩০ শতাংশ শুল্কের রফা চিন-আমেরিকার।

US, China pause tariffs for 90 days

ফাইল ছবি

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:May 12, 2025 1:55 pm
  • Updated:May 12, 2025 2:21 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুল্কযুদ্ধে রাশ টেনে এবার সংঘর্ষবিরতির পথে হাঁটল আমেরিকা ও চিন। দীর্ঘ আলোচনার পর সোমবার অবশেষে ৯০ দিনের জন্য শুল্ক কমাতে রাজি হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্প ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ১২৫ ও ১৪৫ শতাংশ পারস্পরিক শুল্কের পরিবর্তে আগামী ৯০ দিনের জন্য চিন মার্কিন পণ্যে ১০ শতাংশ ও আমেরিকা ১৪৫ শতাংশের পরিবর্তে মাত্র ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে। দীর্ঘ সংঘাতের পর অবশেষে চিন-আমেরিকার এই ‘সংঘর্ষবিরতি’তে স্বস্তির শ্বাস ফেলল গোটা বিশ্ব।

হোয়াইট হাউসের অধীশ্বর হওয়ার পর কার্যত গোটা বিশ্বের বিরুদ্ধে শুল্কযুদ্ধের ঘোষণা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর পারস্পরিক শুল্কনীতি বিপাকে ফেলে বেশিরভাগ দেশকে। ভারত, কানাডা, চিন-সহ একাধিক দেশের উপর ২ এপ্রিল থেকে ব্যাপক হারে পারস্পরিক শুল্ক চাপিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এর পালটা চিন আমেরিকার উপর কর চাপালেও, বাকি দেশগুলি কোনও উচ্চবাচ্য করেনি। যার জেরে ট্রাম্পের কোপে পড়ে শি জিনপিংয়ের দেশ। নয়া শুল্কবিধি লাগুতে বাকি দেশগুলির জন্য ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ জারি করলেও রেহাই মেলেনি চিনের। তাদের উপরে ১৪৫ শতাংশ ও কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো ২০০ শতাংশের বেশি কর চাপিয়ে দেওয়া হয়। পালটা ১২৫ শতাংশ কর চাপিয় চিনও। এমন অস্বাভাবিক শুল্কের জেরে কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে চিন-আমেরিকার বাণিজ্য। এহেন শুল্কযুদ্ধের প্রভাব পড়ে গোটা বিশ্বে। টলমল অবস্থা হয় বিশ্ব অর্থনীতির। এই ঘটনা যে বিপদ ডেকে আনতে পারে তা টের পেয়ে চিনকে আলোচনার প্রস্তাব দেয় আমেরিকা।

Advertisement

দুই দেশের শুল্কযুদ্ধে রাশ টানতে গত ১০ ও ১১ মে সুইজারল্যান্ডে বৈঠকে বসেন আমেরিকা ও চিনের বাণিজ্য প্রতিনিধিরা। উপস্থিত ছিলেন, মার্কিন রাজস্ব সচিব স্কট বেসেন্ট, বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার ও চিনের বাণিজ্য প্রতিনিধি হি লিফেং। দীর্ঘ বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা জানান, উভয় দেশ ৯০ দিনের জন্য শুল্ক কমাতে সম্মত হয়েছে। আগামী ৯০ দিনের জন্য নয়া শুল্কনীতি কার্যকর হবে। যেখানে আমেরিকার চাপানো ১৪৫ শতাংশ করের পরিবর্তে ধার্য হবে ৩০ শতাংশ। অন্যদিকে চিন মার্কিন পণ্যে ১২৫ শতাংশ শুল্কের পরিবর্তে ১০ শতাংশ শুল্ক নেবে। যদিও, এই মুহূর্তে দুই দেশের বিস্তারিত বিস্তারিত শুল্ক কাঠামো প্রকাশ্যে আনা হয়নি। আগামিকাল মঙ্গলবার তা প্রকাশ্যে আনা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন রাজস্ব সচিব স্কট বেসেন্ট।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement