সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবের কথা সংবাদমাধ্যমে জানালেন ওই দিন উপস্থিত পুলিশ অফিসার মাইকেল ফেনোনে। তাঁর সেই হাড়হিম করা বর্ণনায় সেদিন পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হয়ে ওঠেছিল তা আরও স্পষ্টভাবে জানা গিয়েছে।
সেদিনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে তিনি ফেনোনে বলেন, “মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি। ট্রাম্প সমর্থকরা উন্মত্ত, হিংস্র ছিল। এরকম আগ্রাসী মারমুখী জনতার মুখোমুখি আগে হইনি। একদল শ্বেতাঙ্গ যুবক আমাকে পেছন থেকে জাপটে ধরে ফেলেছিল। তারা আমার বন্দুক ও কোমরে গোঁজা পিস্তল ছিনিয়ে নেবার জন্য টানাহ্যাঁচড়া করছিল। ওদেরই একজন চিৎকার করছিল, ‘ওর বন্দুক দিয়েই ওকে গুলি করে মেরে ফেল।’ শুনেই আমি শিউরি উঠি। আমি ওদের কাছে অনুরোধ করলাম, আমার সংসার আছে। বাচ্চা আছে। আমাকে প্লিজ ছেড়ে দিন। তখন বিক্ষোভকারী জনতার মধ্যে থেকে এক যুবক ও দুই মহিলা হামলাকারীদের অনুরোধ করে এবং ছেড়ে দিতে বলে। সেই সময় আমাকে উদ্ধারের জন্য আরও কয়েকজন পুলিশ অফিসার না এলে আমাকে ওরা মেরেই ফেলত।” ফেনোনে বলেছেন, “ক্যাপিটল হিলে সেদিন প্রচুর পুলিশ না থাকলে আরও ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারত।”
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই জো বিডেনকে জয়ের শংসাপত্র দিতে শুরু হয়েছিল মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন। কিন্তু তারপরই ট্রাম্প সমর্থকদের হামলায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ক্যাপিটল বিল্ডিং চত্বর। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় পুলিশের। ট্রাম্পপন্থীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করতেই পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে। আরও কয়েক জনের আহত হওয়ার খবর সামনে এসেছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন বেশ কয়েক জন সমর্থকও। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে, হিংসায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.