ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাকরি খাওয়ার অধিকার নেই ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের। সাফ জানিয়ে দিল মার্কিন আদালত। দিনকয়েক আগে আচমকাই আমেরিকার সরকারি কর্মীদের জানানো হয়, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমেরিকার সমস্ত দপ্তরের কাজের হিসাব দিতে হবে। অন্যথায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চাকরি কেড়ে নেওয়া হবে বলেও কার্যত হুমকি দেওয়া হয়। কিন্তু সেই অধিকারই নেই ট্রাম্প প্রশাসনের, এমনটাই জানাল আমেরিকার আদালত।
বৃহস্পতিবার সান ফ্রান্সিসকোর প্রাদেশিক আদালতের বিচারক উইলিয়াম আলসুপ বলেন, অফিস অফ পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট কাউকে চাকরি দিতে পারে না। কারোওর চাকরি কাড়তেও পারে না। তাদের সেই অধিকারই নেই। নিয়োগ এবং ছাঁটাইয়ের অধিকার রয়েছে কেবল সংশ্লিষ্ট সংস্থার হাতেই। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ এবং ছাঁটাইয়ের বিষয়টি পুরোপুরি থাকবে প্রতিরক্ষা দপ্তরের হাতেই। অর্থাৎ অন্য কোনও দপ্তরের তরফে কর্মী ছাঁটাইয়ের নির্দেশ দেওয়া যায় না।
আদালতের এমন সিদ্ধান্তে বড়সড় ধাক্কা খাবে ট্রাম্প সরকার। কারণ ক্ষমতায় এসেই দেশের ব্যয় কমাতে উঠেপড়ে লেগেছেন মার্কিন ধনকুবের। তার জন্য তৈরি হয়েছে ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি, তার প্রধান এলন মাস্ক। ওই ডিপার্টমেন্টের অন্তর্গত আমেরিকার কর্মী ব্যবস্থাপনা দপ্তর বা অফিস অফ পারসোনেল ম্যানেজমেন্ট থেকেই সরকারি কর্মীদের কাছে কাজের জবাবদিহি চেয়ে ইমেল গিয়েছে। সরকারি কর্মীদের ছাঁটাই করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে সেখানে।
মাস্কের এমন হঠকারী সিদ্ধান্তে আদালতের দ্বারস্থ হন সরকারি কর্মীদের একাংশ। তাঁদের আবেদন ছিল, অসাংবিধানিকভাবে চাকরি থেকে ছাঁটাইয়ের চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, সরকারি কর্মীরা এই সংক্রান্ত মেল পান শনিবার। সোমবার রাত ১২টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয় তাঁদের। এই ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হন আমেরিকার প্রায় ২৩ লক্ষ সরকারি কর্মী। তবে আদালতের নির্দেশে আপাতত স্বস্তিতে তাঁরা। অন্যদিকে, আদালতে ধাক্কা খেয়ে মুখ পুড়ল ট্রাম্প সরকারের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.