সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৫৩ সালের পর প্রথম কোনও মহিলাকে মৃত্যুদণ্ড (Execution) দেওয়া হল আমেরিকায় (US)। লিজা মন্টগোমারি নামে ৫২ বছরের ওই মহিলা ২০০৭ সালেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ববি জো স্টিননেট নামে আট মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে তিনি খুন করেছেন। লিজার আইনজীবীদের দাবি ছিল, তিনি মানসিক ভাবে অসুস্থ। তাই লিজার মৃত্যুদণ্ড রদ করা হোক। কিন্তু শেষপর্যন্ত স্থানীয় সময় রাত দেড়টায় প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশন দিয়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় তাকে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন মৃত্যুদণ্ডের আগে লিজার মাস্ক খুলে এক মহিলা তাকে জিজ্ঞেস করেন, সে কিছু বলতে চায় কিনা। মৃত্যুর সামনে স্থির, থমথমে কণ্ঠস্বরে লিজা কোনও মতে বলতে পারে, ‘‘না।’’ শেষ সময়ে অত্যন্ত নার্ভাস হয়ে পড়েছিল সে। কিন্তু তার মধ্যে কোনও আক্ষেপের চিহ্ন ছিল না বলেই উপস্থিত সাংবাদিকরা জানিয়েছেন। এরপরই তাকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। পরে এক চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করে ঘোষণা করেন, লিজা মৃত।
ঠিক কী করেছিল লিজা? তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে নৃশংস ভাবে খুন করার। ওই মহিলাকে অপহরণ করে তাঁর শ্বাসরোধ করে খুন করে সে। এরপর তাঁর পেট কেটে গর্ভস্থ ভ্রূণকে বের করে এনে তাকে হত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রাণে বেঁচে যায় শিশুটি। লিজার আইনজীবীদের দাবি ছিল, সে মানসিক ভাবে অসুস্থ। ছোটবেলায় তার সৎ বাবা ও তার বন্ধুরা মিলে তাকে গণধর্ষণ করেছিল। সেই মানসিক ধাক্কায় বিপর্যস্ত হয়ে যায় লিজা। পরবর্তী সময়ে সেখান থেকেই তার মধ্যে অপরাধী মানসিকতা গড়ে ওঠে। লিজার মৃত্যুদণ্ড রদ করার আবেদন অবশ্য খারিজ করে দেন বিচারক।
গত জুলাই থেকে এই নিয়ে ১১ জন অপরাধীকে আমেরিকায় প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হল। বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মৃত্যুদণ্ডের প্রবল সমর্থক। তিনি লিজাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আবেদনে সায় দেওয়ার পরই তা কার্যকর করা হল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.