সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ব অর্থনীতিতে জোর ধাক্কা দিয়েছে করোনা মহামারী। তার উপর পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ। চাপে পড়েছে জ্বালানি থেকে খাদ্যশস্যের জোগান শৃঙ্খল। এহেন পরিস্থিতিতে বেনজির মুদ্রাস্ফীতির সাক্ষী হয়েছে আমেরিকা। তাই পরিস্থিতির উপর লাগাম টানতে বুধবার সুদের হার ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করল মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ যা গত তিরিশ বছরে বেনজির।
এএফপি সূত্রে খবর, বুধবার বৈঠকে বসে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি নির্ধারক ‘ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটি’। সেখানেই ঋণের উপর সুদের হার ৭০ বেসিস পয়েন্ট বা ০.৭৫% বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেখানে আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে মুদ্রাস্ফীতির হার দুই শতাংশের মধ্যে রাখতে হবে। ফলে আগামী দিনে সুদের হার আরও বাড়াতে পারে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য,এর আগে ১৯৯৪ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম বার সুদের হার ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছিল।
চলতি বছরের শেষে ফেডারেল তহবিলের হার দাঁড়াতে পারে ৩.৪ শতাংশে, ত্রৈমাসিক পূর্বাভাস অনুযায়ী এমনটাই মনে করছেন কমিটির সদস্যরা। এ বছরের শেষ দিকে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রাস্ফীতি সূচক ৫.২ শতাংশ বাড়তে পারে। এদিকে, জিডিপি বৃদ্ধির হার ১.৭ শতাংশে নেমে আসতে পারে। আগের পূর্বাভাস অনুযায়ী যা ছিল ২.৮ শতাংশ।
ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটি জানিয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব মুদ্রাস্ফীতির অন্যতম কারণ। আগেই রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি নিষিদ্ধ করেছে আমেরিকা। ফলে আমেরিকায় পেট্রলের দাম পৌঁছে গিয়েছে ৫ ডলার প্রতি গ্যালনে । যা প্রতিদিনই নতুন রেকর্ড করছে। মে মাসে সেখানকার উপভোক্তা মুদ্রাস্ফীতি ১২ মাসে সর্বোচ্চ ৮.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে পাইকারি মূল্যসূচকও। সবকিছুই হয়েছে পেট্রোলের দাম বৃদ্ধির কারণে। তাই পরিস্থিতিতে লাগাম টানতে রেকর্ড হারে সুদ বাড়িয়েছে আমেরিকা। এর ফলে কার লোন, হোম লোন, ক্রেডিট কার্ড বিলের পরিমাণ বাড়বে। যার জেরে বাজারে নগদের জোগান কমে দিয়ে চাহিদা কিছুটা কমবে। আর অর্থনীতির নিয়ম মেনে চাহিদা কমলে মূল্যবৃদ্ধিও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.