সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ানমারে (Myanmar) সামরিক বুটের তলায় পিষ্ট গণতন্ত্র। জনতার সরকার উপড়ে ফেলে মসনদে বসেছে সেনাবাহিনী। বন্দি জনপ্রিয় নেত্রী আং সাং সু কি ও তাঁর বিশ্বস্ত সহযোগীরা। সেনার স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন হাজার হাজার গণতন্ত্রকামী মানুষ। এহেন পরিস্থিতিতে দেশটির একাধিক মন্ত্রকের উপর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করার কথা ঘোষণা করল আমেরিকা।
বৃহস্পতিবার মায়ানমারের প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকার বাণিজ্য দপ্তর। শুধু তাই নয়, ‘মায়ানমার ইকোনোমিক কার্পোরেশন’ ও ‘মায়ানমার ইকোনোমিক হোল্ডিংস পাবলিক কোম্পানি’ নামের দু’টি সরকারই সংস্থাকেও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কালো তালিকাভুক্ত করেছে বাইডেন প্রশাসন। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাফ জানিয়েছিলেন, মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানে জড়িতদের বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করতে চলেছে তাঁর প্রশাসন। পাশাপাশি, গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্যও সামরিক জুন্টাকে কড়া ভাষায় নির্দেশ দেন তিনি। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে ‘টাটমাডাও’ বা বার্মিজ সেনার একাধিক কর্তা ও তাঁদের পরিবারের লোকজন। এর ফলে আমেরিকায় তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হবে। একইসঙ্গে, মায়ানমারে স্বাস্থ্য ও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সরঞ্জাম ছাড়া অন্য পণ্যের রপ্তানি বন্ধ করতে পারে ওয়াশিংটন।
প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে মায়ানমারে সেনার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন হাজার হাজার গণতন্ত্রকামী মানুষ। কিন্তু শান্তি ফেরানোর নামে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। গত বুধবার ৩৮ গণতন্ত্রকামী মানুষকে গুলি করে মারে সেনা ও পুলিশ। সেনার বর্বরোচিত আচরণে স্তম্ভিত হয়ে যায় গোটা বিশ্ব। তারপরই কড়া পদক্ষেপ করেছে আমেরিকা। উল্লেখ্য, চলত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি আচমকাই দেশের শাসনক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নেয় মায়ানমার সেনা। পালটা ক্যু বা সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে পথে নামে দেশের আমজনতা। কোথাও তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তো কোথাও আবার শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.