সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নোভেল করোনা ভাইরাসের মারণ ক্ষমতা সম্পর্কে প্রথমদিকে তাঁর সম্যক ধারণা ছিল না। পরে যখন আমেরিকাও তার করাল গ্রাসে পড়ল, তখন বললেন, মৃত্যুমিছিল ১ লক্ষের মধ্যে থেমে যাবে। বিশ্বের সর্বশক্তিমান রাষ্ট্রপ্রধানের এহেন সহজ সরল হিসেব-নিকেশ হাসিয়েছিল অনেককেই। পরিস্থিতি রোজ আরও আশঙ্কাজনক হতে থাকলেও, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) হুঁশ কতটা ফিরেছে, তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠে গেল। দেখা গেল, এই আবহে মাস্ক ছাড়াই তিনি বেমালুম বেরিয়ে পড়েছেন, আবার মাস্ক বিলির কাজেই!
বৃহস্পতিবার পেনসিলভেনিয়ায় ট্রাম্প গিয়েছিলেন এ মেডিক্যাল ক্যাম্পে মাস্ক বিলি করতে। এক বেসরকারি সংস্থার তরফে আমেরিকার জন্য ১০ লক্ষ N95 মাস্ক, সার্জিক্যাল গাউন, গ্লাভস-সহ চিকিৎসার সরঞ্জাম দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে তা বিতরণ করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। সেই কাজেই সংস্থার কয়েকজন আধিকারিককে সঙ্গে নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন পেনসিলভেনিয়া। প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেল, ওই সংস্থার আধিকারিকদের মুখে মাস্ক থাকলেও স্বয়ং প্রেসিডেন্টের তা নেই। অথচ এই মুহূর্তে করোনার কবলে বিধ্বস্ত আমেরিকার আসল পরিস্থিতি তাঁর চেয়ে বেশি ভাল আর কে-ই বা জানবে? তবু মাস্কে বোধহয় বড় আপত্তি। তাই এতটা সাহসের সঙ্গে মাস্কহীন হয়ে ঘুরতে পারছেন।
এটাই প্রথম নয়। গত সপ্তাহে অ্যারিজোনার একটি মাস্ক তৈরির কারখানায় কাজ দেখতে গিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তখনও মুখে মাস্ক ছিল না। তবে তাতে যে তিনি বেশ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন, তাও মানতে নারাজ প্রেসিডেন্ট। তিনি মনে করছেন, করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া বিশেষ কঠিন কাজ নয়। ভবিষ্যতের আমেরিকা এ ধরনের যে কোনও জটিল পরিস্থিতিতেই লড়তে পরবে। অবশ্য বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের পেনসিলভেনিয়া আরও এক উদ্দেশ্য ছিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সামনেই আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। পেনসিলভেনিয়া প্রদেশে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের। কখন কার পক্ষে যাবে এখানকার বাসিন্দারা, ঠিক নেই। তাই মাস্ক বিলির মাধ্যমে এদিন পরোক্ষে কিছুটা প্রচারও সেরে এলেন ট্রাম্প। কিন্তু তাতে কি মাস্কহীন হয়ে গিয়ে নিজেই লড়াই থেকে কিছুটা পিছিয়ে গেলেন না? এই প্রশ্নের অবকাশও থাকছে বইকি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.