সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত শনিবার থেকে ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তাল হয়ে উঠেছে আমেরিকা। রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে সেই আগুন এবার ছড়িয়ে পড়ছে দেশের অন্য প্রান্তে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এখনও পর্যন্ত ২৪ জনেরও বেশি ‘দাঙ্গাকারী’কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিশ্বের প্রাচীনতম গণতন্ত্র আমেরিকায় নির্বাচন পরবর্তী হিংসা প্রায় বিরল। ২০১৬ সালে রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই ‘শ্বেতাঙ্গ আধিপত্য’ ও ‘বর্ণবিদ্বেষের জিগির বেড়েছে দেশটিতে। কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের হত্যা পরিস্থিতি আরও ঘোরাল করে তুলেছে। এদিকে, প্রেসিডেন্সিয়া নির্বাচনের পর জর্জিয়া, নেভাডা ও পেনসিলভেনিয়ার মতো রাজ্যগুলিতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন হাজার হাজার ট্রাম্পপন্থীরা। পরাজয় স্বীকার না করে নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে মার্কিন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকেই প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন ট্রাম্প। উগ্র সমর্থকদের প্ররোচনা দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ট্রাম্পকেই দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। যাঁকে নিয়ে এই অভিযোগ, সেই ট্রাম্প এখনও নির্বাচনে জালিয়াতি করার অভিযোগে অনড় রয়েছেন। শনিবার ট্রাম্পের সমর্থনে ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ রাজধানী ওয়াশিংটন-সহ বিভিন্ন প্রদেশে মিছিল বার করে। হোয়াইট হাউসের দিকে মিছিল এগনোর সময় ট্রাম্প বিরোধীদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে তারা। এরপরেই শুরু হয় হাতাহাতি। একে অপরকে লক্ষ্য করে লাঠিও চালানো হয় বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন জল মাপার পর শুক্রবার আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বিডেনকে (Joe Biden) অভিনন্দন জানিয়েছে চিন। নির্বাচনের প্রায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পর বেজিংয়ের অভিনন্দন বার্তা স্পষ্ট ইঙ্গিত যে হোয়াইট হাউসে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে দ্বিতীয়বারের জন্য ফিরবেন না, তা মেনে নিয়েছেন চিনা বিশ্লেষকরা। সব মিলিয়ে ট্রাম্প শিবিরের ফের ক্ষমতা দখলের আশা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে আসছে। এবার হিংসাত্মক ঘটনায় জ্বালানি দিয়ে সেই আশা জিইয়ে রাখতে চাইছেন ট্রাম্প বলে অভিযোগ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.