সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাক্কানি নেটওয়ার্ক (Haqqani Network) আর তালিবান আলাদা। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে যোগ নেই। না কোনও তালিবান মুখপাত্র নয়, এমন কথা শোনালেন আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র নেড প্রাইস। স্বাভাবিক তাঁর এহেন মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
শুক্রবার কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকেরা। ৩১ আগস্টের পর কাবুল বিমানবন্দর তালিবানের (Taliban Terror) হাতে তুলে দেওয়ার জল্পনা তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সাংবাদিকরা এই রিপোর্টের সত্যতা জানতে চান। প্রশ্ন করেন, হাক্কানি নেটওয়ার্কের হাতেই কি তুলে দেওয়া হবে কাবুল বিমানবন্দর? প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আমেরিকার (America) প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, “তালিবান এবং হাক্কানি নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণ আলাদা দু’টি গোষ্ঠী।”
এ প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার তালিবানের সঙ্গে হাক্কানি নেটওয়ার্কের ঘনিষ্ঠ যোগ রয়েছে। ২০১২ সালে হাক্কানি নেটওয়ার্ককে জঙ্গিগোষ্ঠীর তকমা দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন সন্ত্রাসদমন শাখার দাবি ছিল, হাক্কানি অনেক বেশি কট্টর। তারা বারবার আফগানিস্তান সেনা, মার্কিন সেনা এবং আফগানিস্তানে থাকা মার্কিন সম্পত্তির উপর হামলা করেছে। তালিবানের সঙ্গে যোগাযোগও প্রমাণিত হয়েছে তাদের।
হাক্কানি নেটওয়ার্ক একটি জঙ্গি সংগঠন। কিন্তু তার অস্তিত্ব তালিবানের (Taliban) থেকে আলাদা। তারা অনেকটাই বেশি ঘনিষ্ঠ পাকিস্তানের আইএসআই (ISI)-এর সঙ্গে। পাকিস্তানের (Pakistan) উত্তর ওয়াজিরিস্তানে তাদের দুর্গ গড়ে উঠেছে। আল কায়দার সঙ্গেও হাক্কানিদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের। তালিবানের হয়ে আফগানিস্তানে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে অর্থ সংগ্রহের কাজ করে হাক্কানি গোষ্ঠী। এই অর্থ সংগ্রহের দায়িত্বে মূলত খলিল হাক্কানি। আমেরিকার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গির তালিকায় রয়েছে তাঁর নাম। মাথার দাম ৩৫ কোটি টাকা। কাবুলের পুল-এ-খিশতি মসজিদে শনিবার দেখা গিয়েছে খলিলকে। এর মাঝেই আমেরিকার এহেন দাবি ঘিরে বেড়েছে চাঞ্চল্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.