সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনের জন্য সমস্ত সামরিক সহায়তা বন্ধ করল আমেরিকা। যতদিন পর্যন্ত না শান্তি স্থাপনের জন্য ইউক্রেনের নেতারা রাজি হবেন, ততদিন পর্যন্ত সামরিক সহায়তা বন্ধ থাকবে বলে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর। উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে তুমুল বচসা হয়। তারপরেই সামরিক সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত আমেরিকার।
সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গ সূত্রে খবর, বর্তমানে যেসমস্ত মার্কিন অস্ত্র ইউক্রেনে রয়েছে সেগুলি ব্যবহার করা যাবে না। যেসমস্ত যুদ্ধাস্ত্র ইউক্রেনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে কিন্তু সেদেশে পৌঁছতে পারেনি, সেগুলিও ব্যবহার করতে পারবে না জেলেনস্কির দেশের সেনা। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ইউক্রেনের রাষ্ট্রনেতারা শান্তি ফেরাতে যতদিন না ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছেন, ততদিন সামরিক সহায়তা বন্ধ থাকবে। ট্রাম্প স্বয়ং ঠিক করবেন, ইউক্রেন শান্তি ফেরাতে রাজি কিনা।
প্রসঙ্গত, তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই জেলেনস্কিদের পাশে ছিল আমেরিকা। দেশে আর্থিক সমস্যা সত্ত্বেও একাধিকবার ইউক্রেনের জন্য নানারকম সাহায্যের ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই সহায়তা নিয়ে ওয়াশিংটনের অন্দরেই চরম অসন্তোষ তৈরি হয়। ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর একাধিক দেশে মার্কিন অনুদান বন্ধ করে দেন। কিন্তু ইউক্রেনের প্রতি সাহায্য বহাল ছিল।
এহেন পরিস্থিতিতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি, ইউক্রেন-আমেরিকার খনিজ চুক্তি এই সব বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন তিনি। কিন্তু আলোচনার মধ্যেই বাদানুবাদে জড়ান দুই রাষ্ট্রনেতা। তুমুল বচসার পর জেলেনস্কি ও তাঁর প্রতিনিধি দলকে হোয়াইট হাউস ছাড়ার নির্দেশ দেন ট্রাম্প। তারপরেই সামরিক সহায়তা বন্ধের নির্দেশ দিল আমেরিকা। ফলে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেল ইউক্রেন, সেকথা বলাই বাহুল্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.