সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ চিন সাগরে ক্রমশ বাড়ছে উত্তেজনার পারদ। আধিপত্যের লড়াইয়ে মুখোমুখি দুই মহাশক্তি। আমেরিকা ও চিনের দ্বৈরথে ক্রমশ বিশ্ব রাজনীতিতে তৈরি হচ্ছে অস্থিরতা। এমনই পরিস্থিতিতে বুধবার এক শীর্ষ মার্কিন আধিকারিক জানিয়েছেন, দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের নির্মিত বিতর্কিত দ্বীপের খুব কাছ ঘেষে মার্কিন নৌসেনার রণতরী টহল দিয়েছে। আন্তর্জাতিক জলসীমায় স্বাধীনভাবে বিচরণের অধিকার বজায় রাখতেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।
[নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে দেশের কত টাকা লাভ হয়েছে জানেন?]
দক্ষিণ চিন সাগরের পুরোটাই নিজের বলে দাবি করে এসেছে বেজিং। পাশাপাশি ওই জলসীমায় দাবি জানিয়েছে ভিয়েতনাম, জাপান-সহ একাধিক দেশ। ওই জলসীমায় একাধিক কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করে যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করেছে লালফৌজ। তবে নিজের আগ্রাসনকে বাণিজ্যের মোড়কে মুড়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে সীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে বেজিং। ওই এলাকায় মার্কিন রণতরীর টহলকে আইন লঙ্ঘন ও উসকানিমূলক পদক্ষেপ বলে দাবি করেছে চিন।
এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সুত্রে খবর, আমেরিকার যুদ্ধজাহাজ ‘ইউএসএস ডিউই’ বিতর্কিত দ্বীপের ১২ মাইল জলসীমার মধ্যে দিয়ে পার হয়ে যায়। আন্তর্জাতিক জলসীমায় স্বাধীনভাবে বিচরণের অধিকার বজায় রাখতেই এই পদক্ষেপ মার্কিন নৌসেনার। পেন্টাগনের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস জানিয়েছেন, এশিয়া-প্যাসিফিকে ও দক্ষিণ চিন সাগরে নিয়মিত টহল দেয় মার্কিন রণতরী। তবে এ বিষয়ে আরও বিশদে জানাতে রাজি হননি তিনি। দক্ষিণ চিন সাগরের প্যারাসেল ও স্প্রাটলি দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে চিন, ভিয়েতনাম ও ফিলিপিন্সের মধ্যে বিবাদ রয়েছে। উল্লেখ্য, ভিয়েতনামকে নিশানায় রেখে দক্ষিণ চিন সাগরে রকেট লঞ্চার বসিয়েছে চিন। যদিও এতদিন বেজিং বারবার দাবি করে এসেছে, শুধুমাত্র প্রতিরক্ষার জন্যই দক্ষিণ চিন সাগরে অস্ত্রশস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে৷ কিন্তু এবার বেজিংয়ের দাবি, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য যা কিছু করার দরকার চিন তাই করবে৷ প্রয়োজনে আক্রমণকারীকে প্রত্যাঘাত করতেও পিছপা হবে না বেজিং৷
[দাউদের আত্মীয়ের বিয়েতে গিয়ে বিপাকে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী-পুলিশ]
চিনের এই আগ্রাসনের কড়া নিন্দা করেছে আমেরিকা৷ চিনা জলসীমায় ক্রমাগত সামরিক শক্তিবৃদ্ধির তীব্র বিরোধিতা করেছে ভারত-সহ অন্যান্য দেশগুলিও৷ সরকারি সংবাদপত্র ডিফেন্স টাইমস জানিয়েছে, সিএস/এআর-১ ৫৫ এমএম অ্যান্টি ফ্রগম্যান রকেট লঞ্চার ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েন করা হয়েছে স্প্রাটলি দ্বীপপুঞ্জে৷ যে বিতর্কিত এলাকায় ওই সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়েছে, সেই এলাকার মালিকানা ফিলিপাইন্স, ভিয়েতনাম ও তাইওয়ান৷ এছাড়াও ওই এলাকায় একটি আস্ত বিমানবন্দরও তৈরির কাজ চালাচ্ছে চিন৷ প্রতি বছর দক্ষিণ চিন সাগর মারফত প্রায় ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যিক পণ্য যাতায়াত করে৷ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য ওই এলাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ ২০১৪-র মে মাস থেকে দক্ষিণ চিন সাগরের ওই বিতর্কিত এলাকার মালিকানা দাবি করে আসছে বেজিং৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.