সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবা কিংবা মা, কারও সঙ্গেই মিল নেই কন্যাসন্তানের মুখের। তার উপরে যত সময় এগোচ্ছে, ততই আরও বেশি সুন্দরী হয়ে পড়ছে সে! ক্রমেই সন্দেহ গাঢ় হতে থাকে বাবার। শেষপর্যন্ত তিনি তাঁর কিশোরী মেয়ের ডিএনএ পরীক্ষা করান। আর তাতেই ধরা পড়ে ওই মেয়েটির জন্ম তাঁর ঔরসে নয়! এমনই এক ঘটনার সাক্ষী হল ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটি। যদিও রহস্যের এক সমাধানও পরে মিলেছে।
ব্যাপারটা ঠিক কী? ভিয়েতনামের এক ব্যক্তি (যাঁর নাম প্রকাশিত হয়নি) স্ত্রী হং ও মেয়ে ল্যানকে নিয়ে থাকতেন। প্রথমে কিছুই মনে হয়নি তাঁর। কিন্তু যত সময় এগোয়, মেয়ে কৈশোরে পা রাখে, তিনি দেখতে পান তাকে দেখতে আদৌ মা কিংবা বাবার মতো নয়। তাহলে এই সুন্দরী মেয়েটি কাদের? এই সন্দেহ ক্রমেই গাঢ় হতে থাকে তাঁর। শেষপর্যন্ত তিনি সিদ্ধান্ত নেন মেয়ের ডিএনএ পরীক্ষা করানোর। ফলাফল থেকে দেখা যায়, সন্দেহই সত্যি। ল্যান তাঁর মেয়ে নয়। এই কঠোর সত্যের সামনে পড়ে দিশাহারা হয়ে যান ওই ব্যক্তি। প্রায়ই মদ্যপ হয়ে বাড়ি ফিরতেন। মেয়ে ও স্ত্রীর সঙ্গে কথা প্রায় বলতেনই না। একদিন তীব্র বাদানুবাদের মধ্যেই হংকে অভিযুক্তও করলেন পরকীয়ায়।
এর পর স্বামীকে ছেড়ে কন্যার সঙ্গে হানোইয়ে চলে যান হং। বদলে যায় ল্যানের স্কুলও। কিন্তু কে জানত ‘পিকচার আভি বাকি হ্যায়’! ওই স্কুলেই ল্যানের সঙ্গে আলাপ হয় একটি মেয়ের। তার জন্মদিনের পার্টিতেও যায় সে। আর সেখানেই তাকে দেখে চমকে যান মেয়েটির মা। কেননা ল্যানকে যে তাঁর মতোই দেখতে! ক্রমে আবিষ্কৃত হয় এক আশ্চর্য সত্যি। জানা যায়, ওই মহিলাই ল্যানের মা। হাসপাতালে বদলে গিয়েছিল দুজনে। আর এই সত্যিটা প্রকাশিত হওয়ার ফলে বিয়োগান্তক কাহিনির শেষটা হয় মিলনান্তক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.