সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত জুনে উত্তর কোরিয়া সফরে গিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আর সেই সময়ই তিনি ঘোষণা করেছিলেন একনায়ক কিম জং উনের সঙ্গে পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করবেন তিনি। যার ফলে এবার দুই দেশের কোনওটির উপরে হামলা হলে অন্য দেশটি পাশে দাঁড়াবে। অবশেষে স্বাক্ষরিত হল সেই চুক্তি।
বলে রাখা ভালো, আমেরিকাকে চাপে ফেলতে আরও শক্তিশালী জোটবদ্ধ হয়েছে মস্কো ও পিয়ংইয়ং। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, উত্তর কোরিয়ায় গিয়ে কিমকে পাশে বসিয়ে গাড়ি চালিয়েছিলেন পুতিন। পরে সেই গাড়ি তিনি ‘বন্ধু’কে কিমকে উপহার দেন। গত জুনেই পুতিন ও কিম জানিয়ে দিয়েছিলেন, অন্য দেশ আক্রমণ শানালেই একে অপরের পাশে দাঁড়াবেন তাঁরা। নাম না করলেও যে দুজনের ইঙ্গিত আমেরিকার দিকেই তা স্পষ্ট। কিমের দেশের সঙ্গে ‘শত্রুতা’র অন্ত নেই ওয়াশিংটনের। এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে কিয়েভের পাশে রয়েছে আমেরিকা। আর তাই, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আমেরিকাবিরোধী দেশগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে উঠেপড়ে লেগেছেন পুতিন। ফলে এই ধরনের চুক্তি যে মার্কিন মুলুককেই বার্তা তাতে সন্দেহ নেই।
প্রসঙ্গত, গত আগস্টে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে পিয়ংইয়ং। অগণিত মৃত্যু ও সম্পত্তি ধ্বংসের ঘটনায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সেই পরিস্থিতিতেও কিম জং উনের পাশে দাঁড়ান পুতিন। তাঁকে সান্ত্বনা জানিয়ে বার্তা পাঠান, ‘আপনি সবসময় আমাদের সাহায্য এবং সমর্থনের উপর নির্ভর করতে পারেন।’ অবিলম্বে মানবিক সহায়তার আশ্বাসও দেন তিনি। বদলাতে থাকা ভূ-রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে কিম-পুতিনের সম্পর্ককে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। সম্প্রতি মার্কিন মসনদে প্রত্যাবর্তন করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি পুতিন-কিমের ‘বন্ধুত্ব’কে কীভাবে দেখেন সেদিকেও তাকিয়ে বিশেষজ্ঞরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.