ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচভের (Mikhail Gorbachev) শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকবেন না রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেই সঙ্গে ক্রেমলিনের তরফে বলা হয়েছে, পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গর্বাচভের শেষকৃত্য সম্পন্ন করবে না রাশিয়া। পুতিনের অনুপস্থিতির কারণ হিসাবে ব্যস্ত সময়সূচির কথা বলা হয়েছে। তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দুই নেতার মধ্যে তিক্ত সম্পর্কের কথা মাথায় রেখেই শেষকৃত্য থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখছেন পুতিন (Vladimir Putin)।
সোভিয়েত ইউনিয়নকে পতনের হাত থেকে বাঁচাতে পারেননি গর্বাচভ। সেই ‘অপরাধেই’ তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হচ্ছে না। শনিবার রুশ প্রথা মেনে গর্বাচভকে সমাধিস্থ করা হবে। কিন্তু তার আগে তাঁর মরদেহ গ্র্যান্ড হলে শায়িত রাখা হবে না। প্রসঙ্গত, লেনিন, স্ট্যালিন থেকে শুরু করে সকল রুশ প্রেসিডেন্টের দেহ এই হলেই রাখা হয়েছিল। কিন্তু সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হবে গর্বাচভের ক্ষেত্রে।
রাজনৈতিক ক্ষেত্রে গর্বাচভের কট্টর প্রতিদ্বন্দ্বী বরিস ইয়েলৎসিনের শেষকৃত্যও পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হয়েছিল। গোটা দেশে একদিনের জন্য রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, পুতিনের কট্টরপন্থার সঙ্গে একমত হতে পারেননি গর্বাচভ। বেশ কিছু বছর ধরে পুতিনের বিদেশনীতির তীব্র সমালোচনা করেছিলেন গর্বাচভ। সেই কারণেই সম্ভবত শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকবেন না পুতিন। তবে গর্বাচভের মরদেহে সম্মান জানিয়েছেন পুতিন।
ক্রেমলিনের তরফে বলা হয়েছে, “৩ আগস্ট গর্বাচভের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু ওই দিন পূর্বনির্ধারিত বেশ কিছু কাজ রয়েছে প্রেসিডেন্টের। সেই কারণেই আগের দিন শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে এসেছেন তিনি।” সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্যের কয়েকটি অংশ পালন করা হবে। গোটা বিষয়টি আয়োজন করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে রাশিয়া।
মূলত গর্বাচভের নীতির কারণেই সোভিয়েত ইউনিয়নের অধীনে থাকা দেশগুলি একে একে স্বাধীনতা অর্জন করে। তাঁর পেরেস্ত্রৈকা এবং গ্লাসনস্ত নীতি অবলম্বন করে মুক্ত অর্থনীতির সূচনা হয় রাশিয়ায়। গর্বাচভের এই পদক্ষেপকে বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় বিপর্যয় বলে অভিহিত করেছিলেন পুতিন। গর্বাচভের মৃত্যুর পরেও দূরত্ব মিটল না রাশিয়ার দুই নেতার মধ্যে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.