সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার থেকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। ভারতের সব বিষয়েই চিৎকার করতে দেখা যায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। যেকোনও উপায়ে বিশ্বের দরবারে ভারতকে অপদস্থ করার সুযোগ খোঁজেন তিনি। কিন্তু, বারবারই মুখ পোড়ে তাঁর। ভারতের কোনও জায়গায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর নির্যাতনের কথা শুনলেই তাঁর মন কেঁদে ওঠে! যদিও তাঁর এই মানবিক মুখের রূপ বদলে যায় প্রিয় বন্ধু চিনের ক্ষেত্রে। সেখানে দিনের পর দিন উইঘুর (Uighur) মুসলিমরা নির্মমভাবে অত্যাচারিত হলেও মুখে কোনও শব্দ করেন না তিনি। তাঁর এই দ্বিচারিতার কথা আজ প্রায় গোটা বিশ্বই বুঝতে পেরেছে। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তা ফের প্রমাণিত হল।
গত ১৬ জানুয়ারি জার্মানির একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় ভারতের নামে তীব্র সমালোচনা করেন ইমরান খান। কাশ্মীর থেকে উত্তরপ্রদেশ, ভারতের বিভিন্ন জায়গায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর অত্যাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ জানান। বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের মদতেই এই ধরনের ঘটনার বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে বলে দাবি করেন। ভারতীয় মুসলিমদের প্রতিদিন মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন। এরপরই তাঁকে চিনের উইঘুর মুসলিমদের ওপর অত্যাচার নিয়ে প্রশ্ন করেন সঞ্চালক। এই বিষয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কী মনে করছেন তা জানতে চান।
ভারতের বিরুদ্ধে গলার সুর চড়া থাকলেও চিনের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বদলে যায় ইমরানের মুখ। গলার স্বর নামিয়ে এই বিষয়টিকে স্পর্শকাতর বলে উল্লেখ করে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চান। কিন্তু, নাছোড়বান্দা সঞ্চালকের জন্য শেষপর্যন্ত মুখ খুলতে বাধ্য হন। আর সেখানেও ভারতের প্রসঙ্গই টেনে আনেন। এপ্রসঙ্গে বলেন, ‘কাশ্মীরের তুলনায় চিনের ঘটনা খুবই সামান্য। তাছাড়া চিন আমাদের সমস্ত বিপদে পাশে দাঁড়ায়। তাই এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলব না। যা বলার তা ঘরোয়া বৈঠকে বলব।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.