ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার মসনদে শেষপর্যন্ত কাকে দেখা যাবে? সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে এখনও অপেক্ষা করতে হবে। আপাতত কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প, দুজনকে নিয়েই আলোচনা তুঙ্গে। ভারতীয় সময় বুধবার সকালে শেষ হচ্ছে নির্বাচনী প্রক্রিয়া। তার পর দ্রুতই পরিষ্কার হয়ে যাবে শেষ হাসি কার। আপাতত আলোচনায় নানা সমীকরণ। প্রশ্ন উঠছে, কে জিতলে কী হবে। প্রশ্ন উঠছে কে হারলে কী হবে তা নিয়েও। আসলে ২০২১ সালে ক্যাপিটল রায়টসের স্মৃতি এখনও ভোলেননি মার্কিনীরা। আর তাই ডোনাল্ড ট্রাম্প পরাজিত হলে কী পরিস্থিতি হতে পারে তা নিয়ে নানা চর্চা চলছে।
গত মার্চেই ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন, এবার তিনি হারলে ‘রক্তগঙ্গা’ বইয়ে দেবেন। যদিও তাঁর অনুগামীদের ব্যাখ্যা ছিল, ট্রাম্প আসলে মার্কিন শিল্প নিয়ে কথা বলতে চেয়েছেন। তবে তাঁরা যাই বলুন, ডোনাল্ড ট্রাম্প যে জিততে মরিয়া তাতে সন্দেহ নেই। আর এর পিছনে কেবলই মসনদের গরিমা নয়, রয়েছে মামলা ভীতিও। কেননা হেরে গেলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা নতুন করে গতি পাবে। এর মধ্যে রয়েছে ফৌজদারি অভিযোগও। কিন্তু তিনি জিতে গেলে এই ধরনের কোনও কার্যক্রমকে আটকাতে সক্ষম হবেন। কাজেই কোনওভাবে জিততে চাওয়ার পিছনে মামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার অদম্য ইচ্ছেও একটা বড় ফ্যাক্টর।
প্রসঙ্গত, ক্ষমতা হস্তান্তর আমেরিকায় বরাবরই শান্তিপূর্ণ থাকত। কিন্তু ট্রাম্প একাই যেন সেই ছবিটা বদলে দিয়েছেন। ফলে তিনি পরাজিত হলে ফের কারচুপির অভিযোগ তুলে গোলমালের পরিস্থিতি তৈরি করতে পারেন- এই আশঙ্কা অমূলক নয়। ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের উপরে হওয়া দুবার হামলার ঘটনা স্মরণে রেখে বলা যায়, ইতিমধ্যেই মার্কিন নির্বাচনে হিংসার প্রবেশ ঘটে গিয়েছে। এদিকে ট্রাম্প বলতে শুরু করেছেন, পেনসিলভ্যানিয়ায় কারচুপি হয়েছে প্রি-পোলিংয়ে। যদিও এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন নির্বাচনী আধিকারিকরা। তবু একথা বলা যায়, জিতলে তো হয়েই গেল। কিন্তু হারলেও গতবারের মতোই কারচুপির অভিযোগ তুলবেন বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.