সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাধীন হিন্দু রাষ্ট্র কৈলাসের প্রতিনিধি হিসাবে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে বক্তব্য রেখেছেন। যদিও দেশ হিসাবে স্বীকৃতি নেই কৈলাসের। তবুও রাষ্ট্রসংঘের সম্মেলনে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হল। তার পর থেকেই জনতার মনে প্রশ্ন, কে এই নিত্যানন্দ (Nityananda)? সোনার গয়না, পাগড়িতে সজ্জিত, গেরুয়া বসন পরা এই ব্যক্তিকে নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে সাধারণ মানুষের কৌতুহল।
গত সপ্তাহে রাষ্ট্রসংঘের ইকোনমিক, সোশ্যাল অ্যান্ড কালচারাল রাইটস কমিটির একটি বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন মা বিজয়প্রিয়া নিত্যানন্দ (Ma Vijayapriya Nityananda)। লিঙ্কডইন প্রোফাইল অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক স্কলারশিপ পাওয়া পড়ুয়া তিনি। ২০১৪ সালে মাইক্রোবায়োলজিতে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা শেষ করেন কানাডার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ইংরাজি, ফরাসি-সহ একাধিক ভাষায় পারদর্শী তিনি।
তারপর থেকেই নানা জায়গায় হিন্দু ধর্ম সংক্রান্ত আলোচনাসভায় বক্তৃতা করতে দেখা যায় তাঁকে। বিশ্বের বৃহত্তম হিন্দু রাষ্ট্র কৈলাসের প্রবর্তনও করেন নিত্যানন্দ। রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চেও এই কথাই তুলে ধরেন তিনি। স্বঘোষিত ধর্মগুরুর দাবি, হিন্দু সভ্যতাকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলেছেন তিনি। ২০১৯ সালে ভারত থেকে পালান তিনি। এখনও পর্যন্ত তাঁকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
নাবালক ছেলেমেয়েদের আশ্রমে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও নিত্যানন্দের দাবি, ধর্মীয় প্রথা মেনেই জীবনযাপন করেন তিনি। কিন্তু নিজের দেশের মাটিতেই ধর্মপ্রচারে বাধা দেওয়া হয়েছে তাঁকে। উলটে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে গুজরাট পুলিশ। জানা যায়, ভারত থেকে পালিয়ে ইকুয়েডর সংলগ্ন একটি দ্বীপ পুরোটাই কিনে নিয়েছেন নিত্যানন্দ। সেই অঞ্চলটিকেই কৈলাস রাষ্ট্র হিসাবে দাবি করেন তিনি। তবে রাষ্ট্রসংঘের স্বীকৃতি পায়নি কৈলাস। রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) তরফে আরও জানানো হয়েছে, সম্মেলনে যা মন্তব্য করেছেন নিত্যানন্দ, তা একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক, এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার কোনও মানে হয় না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.