Photo Courtesy: AFP
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন-রাশিয়া (Russia-Ukraine War) যুদ্ধের কারণে ইউরোপে মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে মহামারী। যুদ্ধক্ষেত্রে ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে লাগামছাড়া গতিতে ছড়াতে পারে করোনা। সোমবার এমন আশঙ্কার কথাই জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।
১৯ দিন ধরে চলছে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে স্বভাবতই কোভিড বিধির বালাই নেই জেলেনস্কির দেশে। এইসঙ্গে রুশ হামলায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে সেদেশের বহু হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। এই পরিস্থিতিতে হু-র আশঙ্কা, আগামী দিনে ভয়ংকর অবস্থা তৈরি হতে পারে ইউক্রেন ও লাগোয়া দেশগুলিতে। বিশেষত প্রাণ বাঁচাতে পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়ার মতো যে সব দেশে ২০ লক্ষ শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন, সেখানে দ্রুত ছড়াতে পারে কোভিড।
এদিন ইউক্রেন ও রাশিয়া দুই দেশকে আরজি জানিয়ে হু বলেছে, দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধের প্রভাব করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যাতে না পড়ে সে দিকে খেয়াল রাখুন। ঠিক কোন কোন কারণে সতর্ক করছে হু তাও এদিন স্পষ্ট করা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে। পরিসংখ্যান দিয়ে হু জানিয়েছে, ইউক্রেনের বাসিন্দাদের মাত্র ৩৪ শতাংশের টিকাকরণ হয়েছে। এদিকে লক্ষ লক্ষ শরণার্থী পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতে আশ্রয় নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই ভাইরাস বহন করে এনেছেন সেখানে। এর ফলে গত ৩ থেকে ৯ মার্চের মধ্যে ইউক্রেন ও সংলগ্ন দেশগুলিতে করোনা সংক্রমণ অত্যাধিক হারে বেড়েছে। ছয় দিনে ইউক্রেন-সহ পড়শি দেশগুলিতে সাত লক্ষ ৯১ হাজার ২১ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ১২ জনের। বিষয়টি উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে হু। আগামী দিনে অবস্থা আরও খারাপ হাতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিরা।
হু-র স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি বিভাগের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর মাইক রায়ান এদিন বলেন, “যুদ্ধের কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে কোভিড পরীক্ষা, থমকে গিয়েছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া, আন্দাজ করাই যায় যে ইউক্রেন ও সংলগ্ন দেশগুলিতে দ্রুত হারে সংক্রমণ ছড়াতে চলেছে।”
যদিও বিপদের কথা ভেবেই হাঙ্গেরি, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়ার মতো বহু দেশ শরণার্থীদের বিনামূল্যে কোভিড টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। দেশগুলির স্বাস্থ্য বিভাগ সাধ্য মতো কোভিড পরীক্ষাও চালাচ্ছে। এদিন হু-র তরফে মূলত পুতিনের সেনার প্রতি আরজি জানানো হয়, দয়া করে হাসাপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে নিশানা করবেন না। উল্লেখ্য, কিয়েভের দাবি, ইউক্রেনের সাতটি হাসপাতাল ধ্বংস হয়েছে রুশ হামলায়। স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ওষুধের কারখানাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রুশ আক্রমণে ভেঙে পড়েছে ইউক্রেনের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.