সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুতেই থামছে না WHO বনাম ট্রাম্প সংঘাত। প্রায় প্রত্যেকদিনই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।বৃহস্পতিবারও একইভাবে WHO-কে চিনের জনসংযোগ সংস্থা বলে বেনজির কটাক্ষ করেন ট্রাম্প।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণে WHO’র ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে আমেরিকা।পাশাপাশি, সংস্থাটির সমস্ত অনুদান আপাতত স্থগিত রেখেছে ট্রাম্প প্রশাসন। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “আমি মনে করি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লজ্জা হওয়া উচিত। কারণ তারা চিনের জনসংযোগ সংস্থা হিসেবে কাজ করছে। আমরা প্রতি বছর WHO-কে ৫০০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিচ্ছি। আর চিন দেয় মাত্র ৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে এটা কোনও বিষয় নয়। কেউ ভুল করলে তাদের হয়ে অজুহাত খুঁজে বের করা উচিত নয়। বিশেষ করে যখন সেই ভুলের মাশুল প্রাণ দিতে গুনতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে।” প্রেসিডেন্টের সুরে গলা মিলিয়ে WHO-কে তুলোধোনা করেছেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও। তিনি বলেন, “করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের একটাই কাজ ছিল, এই মহামারিকে আটকানো। কিন্তু আমরা সবাই জানি, সংস্থাটির প্রধান চিন ঘুরে এলেন এবং তারপর করোনাকে বিশ্বব্যাপী মহামারি হিসেবে ঘোষণা করতে রাজি হলে না।”
উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। করোনার প্রভাবে প্রাণ গিয়েছে হাজার হাজার মানুষের। সংক্রমিত লক্ষ লক্ষ। কিন্তু এহেন মহামারি ঠেকাতে দৈনিক বিবৃতি দেওয়া ছাড়া WHO আর কোনও কার্যকারী পদক্ষেপই করেনি। WHO-এর ডিরেক্টর-জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) করোনা রুখতে পুরোপুরি ব্যর্থ এবং চিনের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট। এই অভিযোগ তুলে সদ্য তাঁর পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছেন ১০ লক্ষ মানুষ। আমেরিকার অভিযোগ ছিল, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোখা নিয়ে গড়িমসি ও গাফিলতি করেছে WHO। সংস্থাটির ডিরেক্টর একতরফাভাবে চিনের হয়ে ওকালতি করছেন। তিনি চিনের দোষ খুঁজে পাননি। ইউহানে চিনের ভাইরাস গবেষণাগারকে কাঠগড়ায় না দাঁড় করিয়ে তিনি চিনের স্বার্থরক্ষা করে চলেছেন। ওয়াশিংটন এই দোষারোপ করে WHO-এর পাশ থেকে সরে দাঁড়ায় এবং আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দেয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.