ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা মোকাবিলায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। WHO-এর দাবি, এই ওষুধ প্রয়োগের ফলে উপকার তো হচ্ছেই না, উলটে বিপদ বাড়ছে COVID-19 আক্রান্ত রোগীদের। কয়েকটি গবেষণায় এই তথ্যই সামনে এসেছে। যা বিবেচনা করে নিজেদের অনুমোদিত সমস্ত রকম চিকিৎসা পদ্ধতিতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ব্যবহার বন্ধ করার নির্দেশিকা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর-জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) বলেছেন, সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে জানা গিয়েছে এই ওষুধ প্রয়োগের ফলে রোগীর মৃত্যুর সম্ভাবনা বাড়ছে। তাই যতদিন না রোগীর সুরক্ষার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে, ততদিন WHO সমর্থিত করোনার কোনও চিকিৎসা পদ্ধতিতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহার করা যাবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, HCQ ব্যবহারের ফলে রোগীর হৃদযন্ত্রের গতি বেড়ে যায়। যা করোনা রোগীর জন্য বিপজ্জনক। তাছাড়া ইউরোপ এবং আমেরিকায় আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এর ব্যবহার বন্ধ রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের মৃত্যুমিছিল রুখতে গোটা বিশ্বেই কদর বাড়ছিল হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের (Hydroxychloroquine)। এর নেপথ্যে অবশ্য অনেকটাই হাত ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump)। রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে তিনিই প্রথম জনসমক্ষে দাবি করেন, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন করোনা মোকাবিলায় কার্যকর হতে পারে। এমনকী, নিজে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়াই এই ওষুধ সেবন করাও শুরু করে দেন। ট্রাম্প ভারতের উপর একপ্রকার চাপ সৃষ্টি করে আমেরিকায় এই ওষুধ কিনে নিয়ে যান। অন্য বেশ কয়েকটি দেশও ভারত থেকে ওষুধটি আমদানি করে। তবে, করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, যা আদতে ম্যালেরিয়ার ওষুধ, কতটা কার্যকর তা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে চিকিৎসক মহলে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্বাস্থ্য উপদেষ্টারাও এই ওষুধের প্রয়োগ ও কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization) সরকারিভাবে এর ব্যবহার বন্ধ করে দিল।তবে এই নিষেধাজ্ঞা সাময়িক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.