Advertisement
Advertisement
Volodymyr Zelensky

‘সাদা বাড়ি’তে তুলকালামের পর ফের ট্রাম্প-জেলেনস্কি সাক্ষাৎ? হবে খনিজ চুক্তি?

ট্রাম্পের থেকে সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর ব্রিটেনে যান জেলেনস্কি।

Will Ukraine's Volodymyr Zelensky Meet Trump Again After Ugly Clash
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:March 3, 2025 5:27 pm
  • Updated:March 3, 2025 5:29 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খনিজ চুক্তি করতে গিয়েই ‘ঘাড় ধাক্কা’ খেয়েছিলেন হোয়াইট হাউস থেকে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে তাঁর ‘ধুন্ধুমার’ দেখে স্তম্ভিত বিশ্ব। কিন্তু এই বেনজির ঘটনার পর ফের সেই খনিজ চুক্তির জন্য আমেরিকায় যেতে রাজি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনাতেও বসতে চান তিনি। তবে কিছু শর্তও রয়েছে তাঁর।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) হোয়াইট হাউসে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি, ইউক্রেন-আমেরিকার খনিজ চুক্তি এই সব বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন তিনি। কিন্তু মত বিনিময়ের সময়ই বাদানুবাদে জড়ান দুই রাষ্ট্রনেতা। তুমুল বচসার পর জেলেনস্কি ও তাঁর প্রতিনিধি দলকে হোয়াইট হাউস ছাড়ার নির্দেশ দেন ট্রাম্প। যেভাবে বৈঠকের মাঝেই বের করে দেওয়া হয় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে, তা দেখে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশই নানা মন্তব্য করেছে।

Advertisement

কূটনৈতিক মহলেও প্রশ্ন ওঠে, ফের কি মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখোমুখি হবেন জেলেনস্কি? নাকি আমেরিকার সঙ্গে ইউক্রেনের আলোচনার পথ বন্ধ হয়ে গেল? রয়টার্স সূত্রে খবর, লন্ডন থেকে রবিবার জেলেনস্কি জানিয়েছেন, “আমি বিশ্বাস করি, আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করে নেওয়ার জায়গা রয়েছে। কিন্তু এর জন্য বন্ধ দরজার পিছনে আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।” খনিজ চুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমেরিকার সঙ্গে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করতে এখনও আমি রাজি। কিন্তু আমার কিছু শর্ত রয়েছে। ট্রাম্পের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা চাই আমি। আমাকে আমার কথা বলতে দিতে হবে। ইউক্রেনের অবস্থার কথাও যেন শোনা হয়। বিবেচনা করা হয়। আমাদের বন্ধু দেশগুলোর মনে রাখা উচিত এই যুদ্ধ কারা শুরু করেছিল। কারা বেশি আগ্রাসী।” রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে যে ইউক্রেনের মাটি নিয়ে যে কোনও আপোস করবেন না এদিন সে কথাও স্পষ্ট করে দেন তিনি।

ট্রাম্পের থেকে সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর ব্রিটেনে যান জেলেনস্কি। সেখানে তাঁকে সাদরে অভ্যর্থনা জানান ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার। আশ্বাস দেন, তাঁদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে কিয়েভের প্রতি। এমনকী ট্রাম্প-জেলেনস্কির মাঝে সেতুবন্ধনের বার্তাও দেন স্টার্মার। সেজন্য তাঁকে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। এছাড়া তাঁর পাশে দাঁড়ানো ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজ সোমবার ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, “আমরা ইউরোপ থেকে পূর্ণ সমর্থন পেয়েছি। আমরা সকলেই শান্তি চাই। সেই কারণেই আমাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দরকার। আমরা আমেরিকাকেও গুরুত্ব দিই। ওদের কাছ থেকেও আমরা অনেক সাহায্য পেয়েছি। তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা শান্তি চাই। বিরামহীন যুদ্ধ চাই না।”

উল্লেখ্য, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে রুশ নীতি বদলে ফেলেছেন ট্রাম্প। রাশিয়ার সঙ্গে চিনের জোট ভাঙতে পুতিনকে কাছে টানার চেষ্টা করছেন। তাই তিনি ‘হাতিয়ার’ করেছেন এই যুদ্ধকে। প্রথম থেকে জেলেনস্কিকেই মস্কোর সঙ্গে সমঝোতার পথে হাঁটার বার্তা দিচ্ছেন তিনি। এছাড়া এতদিন ইউক্রেনকে যা যা সাহায্য করেছে আমেরিকা, তা এবার সুদে-আসলে বুঝে নিতে চান ব্যবসায়ী ট্রাম্প। তাই খনিজ চুক্তি করতে চেয়েছিলেন। জেলেনস্কিও রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু শুক্রবারের বৈঠকে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর সেই খনিজ চুক্তির অপমৃত্যু হয়। কিন্তু অপমানের পরও ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান জেলেনস্কি। কারণ আমেরিকার ক্ষমতা সম্পর্কে তিনিও অবগত। কোনওভাবেই চান না এই পরিস্থিতির সুযোগ নিক পুতিন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement