সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে সীমানা বিবাদের মধ্যেই ব্রিটেনের সঙ্গে একপ্রকার বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছে চিন (China)। বেজিংয়ের দাবি, ব্রিটেন (UK) যদি চিনা সংস্থাকে সেদেশের মাটিতে 5G নেটওয়ার্ক তৈরির অনুমতি না দেয়, তাহলে ব্রিটেনের ব্যাংক এইচএসবিসিকে শাস্তি দেবে তাঁরা। একই সঙ্গে ব্রিটেন এবং চিনের যৌথভাবে যে পরমাণু শক্তি কেন্দ্র তৈরির কথা ছিল, সেই চুক্তি থেকেও বেরিয়ে আসবে চিন। বেজিংয়ের এই ‘চাপ সৃষ্টি’র মানসিকতা নিয়ে এবার ব্রিটেনের পাশে দাঁড়াল আমেরিকা (USA)।
মার্কিন স্বরাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেও (Mike Pompeo) বলছেন, ‘আমেরিকা চিনের কমিউনিস্ট পার্টির এই আগ্রাসী মনোভাবের তীব্র বিরোধী। ব্রিটেন যদি চায় আমরা তাঁদের সবরকমভাবে সাহায্য করতে রাজি। নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য পরমাণু শক্তিকেন্দ্র তৈরি থেকে বিশ্বস্ত 5G নেটওয়ার্ক তৈরি পর্যন্ত সবেতেই ব্রিটেনের পাশে আছে আমেরিকা।’ আমেরিকা বলছে, চিনের এই আগ্রাসী মনোভাবই বুঝিয়ে দিচ্ছে, এখন থেকে বিশ্বের সব রাষ্ট্রের উচিৎ চিনের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমিয়ে ফেলা। কারণ, এর আগে অস্ট্রেলিয়া-ডেনমার্কের মতো স্বাধীন রাষ্ট্রের উপরও একইরকম চাপ সৃষ্টি করেছে চিন। তাঁদের দিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার চেষ্টা করেছে।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই চিনের সঙ্গে একপ্রকার সম্মুখ সমরে আমেরিকা। যে দেশগুলির বিরুদ্ধে চিন আগ্রাসী মনোভাব দেখানোর চেষ্টা করছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদেরই পাশে দাঁড়াচ্ছে। এর আগে লাদাখ ইস্যুতে ভারতের পাশেও দাঁড়িয়েছিল আমেরিকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে লাদাখ ইস্যুতে একাধিকবার বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, লাদাখ সীমান্তে চিন যে আগ্রাসী মনোভাব দেখাচ্ছে, তা সমর্থনযোগ্য নয়। চিনের এই আচরণ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। কূটনৈতিকভাবে সীমান্ত সমস্যার সমাধান না করে, বেজিং যেভাবে পেশিশক্তি প্রয়োগের চেষ্টা চালাচ্ছে, তা নিন্দনীয়। আমেরিকার অভিযোগ, চিনা কমিউনিস্ট পার্টি শুধুই প্রতিবেশী দেশগুলিকে হেনস্তা করার চেষ্টা করছে। যেটা সমর্থনযোগ্য নয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.