ছবিতে থানা থেকে টাকা নিয়ে যাচ্ছেন প্রতারিতরা।
সোমনাথ পাল, বনগাঁ: রিলায়েন্স জিও-র টাওয়ার বসানোর নাম করে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণার অভিযোগ। এই অভিযোগে ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বনগাঁ আদালতের বিচারকের নির্দেশে ধৃতদের জেল হেফাজতও হয়েছে।
এদিকে সংশোধনাগারে থাকাকালীন ধৃতদের বোধোদয় হয়। তারা প্রতারিতদের টাকা ফেরতের সিদ্ধান্ত নেয়। একই সঙ্গে আদালতের কাছে মুক্তিরও আবেদন জানায়। এরপর প্রতিশ্রুতিমতো প্রতারিত কুন্তল মণ্ডল ও বাবলু ভাস্কর তিনলক্ষ টাকা ফিরে পান। তবে তাঁরা টাকা পেলেও ধৃতদের জামিন কিন্তু আইনের বেড়াজালে আটকেই গিয়েছে। এদিকে টাকা ফিরে পেয়ে পুলিশকর্মীদের ধন্যবাদ দিতে ভোলেননি বনগাঁর দুই বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে রিলায়েন্স জিও-র টাওয়ার বসানোর নামে প্রতারণার ফাঁদ পাতে চার যুবক। বাড়ির জমিতে বসবে টাওয়ার। রোজগার বাড়বে। এই ভেবে চার যুবকরে কথায় সম্মতি দেন দেবগড়ের কুন্তলবাবু ও চাঁপাবেড়িয়ার বাবলুবাবু। অভিযোগ, টাওয়ার বসলে জমির বীমা করানো জরুরি, সেই সঙ্গে স্বাস্থবীমাও। এসব বলেই দুই বাসিন্দার থেকে তিন লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় চার যুবক। তারপর এলাকা থেকে উধাও হয়ে যায়। দীর্ঘদিন তাদের খোঁজ না পেয়ে বাবলু ও কুন্তলবাবু বুঝতে পারেন প্রতারিত হয়েছেন। এরপরেই বনগাঁ থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর নড়েচড়ে বসে বনগাঁ থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে বেশ কয়েক দফায় চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতে প্রতারণা মামলার শুনানিতে নিজেদের দোষ কবুল করে নেয় চার ধৃত। তাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এদিকে সংশোধনাগারে যাওয়ার পরই প্রতারণার টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানায় ধৃতরা। বিনিময়ে সংশোধনাগার থেকে মুক্তি। বৃহস্পতিবার প্রতারিতদের কাছ টাকা পৌঁছলেও এখনই সংশোধনাগার থেকে ধৃতদের মুক্তি মিলছে না বলে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.