প্রতীকী ছবি।
সৌরভ মাজি,বর্ধমান: খাতা কিনতে বেরিয়েছিল বাড়ি থেকে। তারপর থেকে খোঁজ মিলছিল না দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীর। দুদিন পর সেচখালের ধার থেকে দেহ উদ্ধার হল ওই ছাত্রীর। ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের গলসির। মৃতের পরিজনদের দাবি, ছাত্রীকে খুন করে দেহ অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশেরও অনুমান, ওই ছাত্রীকে খুন করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ওই ছাত্রীর সাইকেল, স্কুলব্যাগ ও জলের বোতল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ওই ছাত্রী গলসির শাঁকড়াই গ্রামের বাসিন্দা। কিশোরকোণা হাইস্কুলের ছাত্রী ছিল সে। মৃতার বাবা পেশায় দিনমজুর। মৃতার বাবা জানান, ওইদিন সকাল ১০টায় কুলগড়িয়ায় গিয়েছিল তাঁর মেয়ে। তিনি মেয়েকে খাতা ও মিষ্টি কেনার জন্য টাকা দিয়েছিলেন। তারপর তিনিও বর্ধমানে কাজে বেরিয়ে যান। বাড়ি ফিরে জানতে পেরেন মেয়ে বাড়ি ফেরেনি। তখন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ শুরু করেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিল ওই ছাত্রী। মৃতার পরিজনদের দাবি, ওইদিনই বাড়িতে ছাত্রীর মোবাইল থেকে একটি ফোন আসে। অভিযোগ, বন্ধু পরিচয় দিয়ে মোবাইলের ওপার থেকে সে জানায়, ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করে দেওয়া হয়েছে। তবে তারপর ওই ছাত্রীর মোবাইল নম্বরের সঙ্গে আর কোনওভাবেই যোগাযোগ করা যায়নি। ওইদিন রাতেই পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁরা। তার পরেও মেয়ের কোনও সন্ধান মেলেনি।
শনিবার বিকেলে ঝাপটার ঢাল গ্রামের কয়েকজন মহিলা হিট্টা গ্রামে রেশন আনতে গিয়েছিলেন। সেই সময় হিট্টা সেচখালের ধারে তাঁরা পচা গন্ধ পান। খোঁজ করে দেখেন পাশের ধানজমিতে পচাগলা দেহ পড়ে রয়েছে। সেখান থেকেই দুর্গন্ধ আসছে। খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলেই সাইকেল, স্কুল ব্যাগ ও জলের বোতল পড়ে রয়েছে। যা দেখে পরিবারের লোকজন দেহ শনাক্ত করেন। দেহ যাতে কেউ চিনতে না পারে তার জন্য অ্যাসিড ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কে বা কারা এই নৃশংস কাজ করেছে, তা বুঝতে পারছেন না ছাত্রীর পরিজনেরা৷ অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা৷ জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে বা ঘটনায় কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা চলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.